সবচেয়ে কাছের মানুষ, জন্মের আগে থেকেও যার সঙ্গে নাড়ির টান, সেই মানুষকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রীর মা নন্দিতা সেনগুপ্ত। মায়ের বকা দেওয়া ফোনটা যে আর কোনওদিনও আসবে না, বলতে বলতেই কেঁদে ফেলের ঋতুপর্ণা। অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন অভিনেত্রীর মা। এর আগে তিনি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে জানান, ডায়ালাইসিসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার মাকে। ৭৭ বছরের নন্দিতা দেবী আরও একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে ছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘মা চলে গেলে কি আর কিছু বলা যায়? তোমরাও সবাই ছিলে। জানো এক মাস ধরে মা যুদ্ধ করছিল। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ। আত্মীয়-পরিজন সবাই খোঁজ নিয়েছেন। থ্যাঙ্কিউ তোমরা সবাই খোঁজ নিয়েছো মায়ের জন্য। আশা করি মা যেখানেই আছে শান্তিতে থাকবে ঋতুপর্ণার কথায়, ‘মা-বাবার তো কোনও বিকল্প হয় না। এখনও মা আমাকে শাসন করত, বকাবকি করত। কয়েকদিন আগেই বলেছিল, ‘এখনও আসছ না তুমি, এখনও আসছ না!’ মায়ের এই ফোনটা তো আর কোনোদিন আসবে না। যারা মা হারিয়েছেন তারা জানেন। যাদের মা আছে খুব যত্ন করে রেখো মাকে।’

নন্দিতা পরিবারে রেখে গেলেন এক কন্যা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, জামাই সঞ্জয় চক্রবর্তী, ছেলে প্রদীপ্ত সেনগুপ্ত, বউমা রোসেলি সেনগুপ্ত ও নাতি-নাতনিদের। মায়ের খুব কাছের ছিলেন ঋতুপর্ণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *