ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরিবারে ছোট্ট মিষ্টি এক সদস্য এসেছে। তাকে জড়িয়ে চুমু খাচ্ছেন মোদি, এমন ছবি ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। সকলেই দেখেছেন সেই পোষ্য বাছুরকে, আর কৌতূহলী হয়েছেন, এমনও হয়! বনসাই গরু? চলছে জল্পনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ মার্গের বাসভবনে সেই নতুন সদস্য রয়েছে দিব্যি খোশমেজাজে। মোদি এক্স হ্যান্ডলে ছবি পোস্ট করে জানান, পোষ্যের নাম দীপজ্যোতি। অসম্ভব মিষ্টি সে, নিজেই স্বীকার করে নেন মোদি।
কীভাবে আনলেন এই নতুন সদস্যকে? তাও জানিয়েছেন তিনি। মোদি লেখেন, বাসভবনের কাছেই একটি বাছুরের জন্ম দিয়েছে এক (গোমাতা) গরু। সেই বাছুরকেই আপন করে নিয়েছেন তিনি। কাটাচ্ছেন বিভিন্ন মুহূর্ত। ভাইরাল হচ্ছে সেই সব ছবি।
তিনি আরও লেখেন, আমাদের শাস্ত্রে বলা আছে– ‘গাভ সর্বসুখ প্রদাহ’। লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে একজন নতুন সদস্য শুভ সংকেত নিয়ে এসেছেন। কপালে আলোর টিকা দেখেই নাকি সেই বাছুরের নাম রেখেছেন দীপজ্যোতি।
তবে এটি যে সে গরু নয়! বিরল প্রজাতির এই ‘পুংগানুর’ (Punganur Cow) গরু সাধারণ গরুর তুলনায় অনেক ছোট। অন্ধ্র প্রদেশের চিত্তুর জেলার পুঙ্গানুর শহরের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে। পুঙ্গানুর গরু সাদা এবং হালকা বাদামী রঙের। তাদের কপাল খুব চওড়া এবং শিং ছোট। পুঙ্গানুর গরুর গড় উচ্চতা আড়াই ফুট থেকে তিন ফুটের মধ্যে, এই গরুর সর্বোচ্চ ওজন ১০৫ থেকে ২০০ কেজি।
নিউজ১৮ জানিয়েছে, এই গাভী দৈনিক ৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়। এর দুধেও অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। তাই পুরাণেও এই গরুর উল্লেখ আছে। পুঙ্গানুর গরুর দুধের বিশেষ বিষয় হলো- এতে ৮ শতাংশ পর্যন্ত ফ্যাট থাকে। যেখানে অন্যান্য গরুর দুধে মাত্র ৩ থেকে ৫ শতাংশ ফ্যাট থাকে। এছাড়া পুংগানুর গরুর মূত্রে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ পাওয়া যায়। অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষকরা ফসলে স্প্রে করার জন্য এটি ব্যবহার করে। যাতে পোকামাকড় থেকে ফসল রক্ষা করা যায়।
খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বাছুরটিকে তার বাসভবনে নিয়ে যাচ্ছেন, ঠাকুরঘরে এনে গলায় পরিয়েছেন মালা। বাগানেও সেই বাছুরের সঙ্গে আবেগঘন মুহূর্ত ধরা দিয়েছে তার পোস্ট করা একগুচ্ছ ছবিতে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিও।
ভিডিওটিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টিডিপি নেতা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মন্ত্রী নারা লোকেশ লিখেছেন, এটি একটি হৃদয়-স্পর্শী ভিডিও। আমি আরও বেশি খুশি কারণ দীপজ্যোতি পুঙ্গানুর গবাদি পশু পরিবারের অন্তর্গত, যেটি অন্ধ্রপ্রদেশের চিতোরের আমার নিজ জেলা থেকে এসেছে।