বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই ভারতে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হলো। আগের মতোই এবারও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকবে অমিত শাহর হাতে, প্রতিরক্ষা রাজনাথের, অর্থ নির্মলার।
রেলমন্ত্রী রইলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তথ্য সম্প্রচারের দায়িত্বেও তিনিই। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নীতিন গড়করি। পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকর।
মনোহরলাল খট্টর বিদ্যুৎ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে, শিবরাজ সিং চৌহান পঞ্চায়েত আর গ্রামীণ উন্নয়নের পাশাপাশি পেলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ও। জে পি নাড্ডা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও তিনি। অন্নপূর্ণা দেবী নারী ও শিশুকল্যাণ। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ভারী শিল্প কুমারস্বামী। চিরাগ পাসোয়ান পেয়েছেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। জি কিষান রেড্ডি হয়েছেন কয়লা ও খনিমন্ত্রী। বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিং। লালন সিং পেয়েছেন জোড়া দায়িত্ব। পঞ্চায়েতি রাজ যেমন তার দায়িত্বে, অন্যদিকে মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধমন্ত্রীও তিনিই।
তাছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হয়েছেন রামমোহন নাইডু। জিতনরাম মাঁঝি পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। সংসদীয় মন্ত্রী হয়েছেন কিরেন রিজিজু। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
এদিকে গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী হয়েছেন। অজয় টামটা ও হর্ষ মালহোত্রা পেয়েছেন সড়ক পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। হরদীপ সিং পুরী পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। সি আর পাটিল পানিশক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। ভূপেন্দ্র যাদব পরিবেশমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের শান্তনু ঠাকুর জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। ওদিকে সুকান্ত মজুমদার পেয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। পাশাপাশি উত্তরপূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছেন তিনিই।
রোববার সন্ধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তার সঙ্গে শপথ নেন আরও ৭১ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন পূর্ণমন্ত্রী। ৩৬ জন প্রতিমন্ত্রী। বাকিরা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। অবশেষে সোমবার তাদের মধ্যেই বণ্টন করা হলো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।