এই ম্যাচ খেলেই দেশে চলে আসবেন। আইপিএলের এবারের আসরে মোস্তাফিজুর রহমান শেষটাতেও আলো ছড়িয়ে আসলেন। টি-টোয়েন্টির মতো ফরম্যাটে দিলেন বিরল মেইডেন, করলেন কিপটে বোলিং। কিন্তু মোস্তাফিজের আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সের পরও জয় পেলো না তার দল চেন্নাই সুপার কিংস। পাঞ্জাব কিংসের সামনে যে কেবল ১৬৩ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছিল চেন্নাই। এ লক্ষ্য ৭ উইকেট আর ১৩ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় পাঞ্জাব।
পাঞ্জাবের রান তাড়ার ভিত গড়ে দেন দুই বিদেশি জনি বেয়ারস্টো আর রাইলি রুশো। বেয়ারস্টো ৩০ বলে ৪৬ আর রুশো ২৩ বলে খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। ফিনিশিং টাচ দেন শশাঙ্ক সিং আর অধিনায়ক স্যাম কারান। শশাঙ্ক ২৬ বলে ২৫ আর কারান ২০ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ ২২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
১০ ম্যাচে পঞ্চম হারের পরও পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরেই আছে চেন্নাই। সমান ম্যাচে চতুর্থ জয় নিয়ে আট থেকে সাতে উঠে এসেছে পাঞ্জাব।এর আগে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দায়িত্বশীল ফিফটিতে ভর করে চেন্নাই সুপার কিংস তুলেছিল ৭ উইকেটে ১৬২ রান। ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চেন্নাই। উদ্বোধনী জুটিতে আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ৫০ বলে ৬৪ রান তুলে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু ২৪ বলে ২৯ করে রাহানে ফেরার পরই বড় ধাক্কা খায় চেন্নাই।
৬ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। রাহানের পর শিভাম দুবে (০) আর রবীন্দ্র জাদেজা আউট হন ২ করেই। বিপদের মুখে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাটার সামির রিজভিকে নামায় চেন্নাই। খুব একটা কাজ হয়নি। ২৩ বলে ২১ রানের ধীর ইনিংস খেলে দিয়ে যান সামির। সেখান থেকে দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে নেন গায়কোয়াড়। অর্শদীপের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন চেন্নাই অধিনায়ক। যে ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ছিল ২টি ছক্কার মার। শেষদিকে মঈন আলি ৯ বলে ১৫ আর মহেন্দ্র সিং ধোনি ১১ বলে করেন ১৪ রান। পাঞ্জাবের হারপ্রিত ব্রার চার ওভারে ১৭ আর রাহুল চাহার মাত্র ১৬ রান দিয়ে নেন দুটি করে উইকেট।