সারা দেশে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের মধ্যেই ঢাকার আকাশে কালো মেঘ জমেছে। ভোর থেকে আকাশ মেঘলা হয়ে উঠে। যদিও তেমন ঘন মেঘ নয়। রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের স্বাক্ষরিত ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং এর কাছাকাছি এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে সামান্য অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। এর বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এর পরের ২৪ ঘণ্টা খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী ৫দিনের রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।