সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫

ভূমিকম্পটি স্থায়ী ছিল কয়েক সেকেন্ড। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও এর প্রভাব অনুভূত হয়।

এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের পর বিভিন্ন ভবনের বাসিন্দারা ফাটল বা ক্ষতির বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনগুলোর অবস্থা পর্যালোচনা করতে শুরু করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী অঞ্চল। ভূমিকম্পটি অগভীর হওয়ায় এর কম্পন বিস্তৃত এলাকায় অনুভূত হয়েছে।

দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ভূমিকম্পের পর ভবনের ক্ষতি শনাক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিভাগকে সক্রিয় হতে বলা হয়েছে

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভূমিকম্প প্রবণ এলাকাগুলোর জন্য ভবনের নির্মাণকাজে ভূমিকম্প প্রতিরোধী ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত মহড়া এবং প্রশিক্ষণ আয়োজন করা প্রয়োজন।

এই ভূমিকম্পটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে বাংলাদেশ একটি ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্প মোকাবিলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকা আবশ্যক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *