রাজশাহী কলেজ মাঠে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ এর অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) বিকালে তিন দিনব্যাপী লোকনাট্য সমারোহ উৎসব শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল।

প্রধান অতিথি বলেন, সবার ঘরে ঘরে টিভি ছিলো না বলে আমরা পূর্বে বিটিভিতে নাটক দেখতাম সপ্তাহে ১ দিন। তখন আমরা এই লোকনাট্যগুলোই বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় উপভোগ করতাম। টিভি চ্যানেল ও শিল্পী কলা-কুশলীর ভিড়ে লোকনাট্যগুলো আজ হারাতে বসেছে। সেই লোকনাট্যকে ধরে রাখার জন্যই আজকের এ আয়োজন।

লোকনাট্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, লোকনাট্য হলো লোকজ জীবনাচারকে তুলে আনা। হাসি-কান্না, রঙ-তামাশা, দুঃখ বেদনা এ সবকিছুকে নাচ, গান ও শব্দের ব্যবহারের সমন্বয়ে গ্রামীণ মানুষের জীবনাচার তুলে ধরা।
আঞ্চলিক সংস্কৃতির বিশেষ গুরুত্ব তুলে তিনি আরও বলেন, অতীতে আঞ্চলিক ভাষায় তেমন কোনো নাটক নির্মাণ করা হতো না কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় নাটক নির্মাণ হচ্ছে। রাজশাহী অঞ্চলের ভাষা অনেকটা পশ্চিমবঙ্গের মত। প্রত্যেক ভাষার একটি সৌন্দর্য রয়েছে এবং সেই ভাষার সাথেই ওই এলাকার মানুষের জীবনাচার জড়িয়ে রয়েছে।

নিজ অঞ্চলের ভাষায় যখন নাটক তৈরি হয় তখন ওই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে একটি অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হয় যা দেখে তারা আনন্দিত হয়। বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষার পার্থক্যের পাশাপশি জীবনযাত্রার মানেরও পার্থক্য রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জেলা কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মহিনুল হাসান, সহকারী কমিশনার আশিক জামান। অন্যান্যের মধ্যে শিল্পী কলা-কুশলী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য তিন দিনব্যাপী লোকনাট্য সমারোহে ৯ জানুয়ারি গম্ভীরা ও আলকাপ, ১০ জানুয়ারি মনসাপালা ও মাদারপীরের পালা এবং ১১ জানুয়ারি বিয়েরগীত ও লছিমন পরিবেশিত হবে। প্রতিদিন বিকাল সাড়ে চারটায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *