সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এবারের এল-ক্লাসিকোতে দারুণ এক রাত কাটিয়েছে বার্সেলোনা। ৪-১ গোলে একপেশে জয়ের ম্যাচটিতে অবশ্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখে পড়েন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল। প্রতিপক্ষ দর্শকদের কাছে তারা বর্ণবাদী মন্তব্যের শিকার হন। যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে স্পেনের ন্যাশনাল পুলিশ। বিচারিক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে মৌলিক সততা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে একজন আবার নিম্ন সম্প্রদায়ের। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বার্সা তারকাকে উদ্দেশ্য করে তাদের বৈষম্যমূলক মন্তব্য নীতিগত জায়গায় আঘাত করেছে। বার্সেলোনা গোল করার পর দর্শকদের সঙ্গে উদযাপন করতে গেলে সেখানেই তারা ওই আচরণের শিকার হন। বিশেষত সেই মন্তব্য করা হয় রাফিনিয়া-ইয়ামালকে লক্ষ্য করে।
ওই ঘটনা আরেক দর্শকের মোবাইলে ধারণ করা হয়, একইসঙ্গে অফিসিয়াল ব্রডকাস্টারদের ক্যামেরায়ও ধরা পড়ে। অফিসিয়াল সেই ভিডিও–ই মূলত পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রফেশনাল ফুটবল লিগ (লা লিগা) ও ক্লাব (রিয়াল) সমন্বয় করে তদন্তে নামে। এর আগে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তারা। ম্যাচের আয়োজক রিয়ালের নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে এই কার্যক্রম চালায়। ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তদন্তরত কর্মকর্তারা বর্ণবাদী ঘটনার সঠিক স্থান চিহ্নিত করেছেন। এরপর এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে চলতি মাসের মাঝামাঝিতেই স্টেডিয়ামে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে বিশেষ ট্রেসিং প্রযুক্তি বসানো হয়েছিল। স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বারবার শিকার হয়ে আসছিলেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। গত মৌসুমে এমন অনেক ঘটনা নিয়ে তুমুল হৈ-চৈ চলছিল। যা পুরো ফুটবল বিশ্বকেও নাড়া দিয়েছিল। সেসবে জড়িত থাকার দায়ে আটকের পর বেশ কয়েকজন শাস্তিও পেয়েছেন। এবার ভিনিদের বিপক্ষে খেলতে এসেই তারই স্বদেশি সতীর্থ রাফিনিয়া ও স্প্যানিশ তরুণ তারকা ইয়ামাল মুখোমুখি হলেন একই ঘটনার। এল-ক্লাসিকোর ম্যাচটিতে রিয়ালের জালে রাফিনিয়া-ইয়ামাল ছাড়াও জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি।