নতুন বছরের শুরুতেই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। মেকওভার শিল্পী রোজা আহমেদকে বিয়ে করেছেন তিনি। রোজাকে বিয়ের আগে অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য ছিল তাহসানের। ২০১৭ সালে তাদের সেই সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর ২০১৯-এর ডিসেম্বরে ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা।

যদিও মেয়ে আয়রার অভিভাবকত্ব যৌথভাবেই পালন করছেন তাহসান-মিথিলা। আয়রা অবশ্য বেশিরভাগ সময় থাকে মায়ের সঙ্গে। তবে বাবার সঙ্গেও সুযোগ পেলেই সময় কাটান। মিথিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন কোনও সম্পর্কে জড়াননি তাহসান। তবে ২০২৫ সালের শুরুতেই নিজের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর খবর প্রকাশ্যে আনেন। তাহসানের বিয়ের পর মিথিলার পুরোনো একটি সাক্ষাৎকার ফের ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তাদের মেয়েকে বড় করে তোলার পেছনে মা=বাবার ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় এই তারকাকে। কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি, তবু মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেই পছন্দ করেন মিথিলা। নিজের কাজ ও মেয়ে আয়রার জন্যই এই সিদ্ধান্ত তার। অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আফ্রিকায় একটা কথা আছে, একটা বাচ্চাকে বড় করতে পুরো গ্রামের প্রয়োজন। এটাই সত্যি। আমি বলতে চাইছি বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে ঠাকুরদা-ঠাকুমা, শাশুড়ি, বন্ধু সকলকে দরকার। আমার ঢাকায় চলে যাওয়ার এটাই মূল কারণ ছিল, মেয়েকে পরিবারের সাহচর্য দেওয়া।’ মেয়েকে নিয়ে ভীষণ রকম সচেতন ও সাবধানী মিথিলা। সন্তান বড় করার ক্ষেত্রে মা-বাবার দু’জনের ভূমিকা যে আছে, সেটা তিনি অক্ষরে অক্ষরেই মানেন।

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে মিথিলা বলেন, ‘আজকাল সন্তান বড় হলে বিদেশে চলে যায় পড়াশোনা করতে। তবে সন্তান বাইরে চলে গেলে বাবা-মায়ের ভিতরে যে অসহায়ত্ব কাজ করে সেটা প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারি। তাই মেয়েকে কখনও বিদেশে পাঠাতে চাই না।’

মিথিলা বার বার বলেছেন বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও তাহসানের সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে। অভিনেত্রী মনে করেন, সন্তান থাকলে তার স্বার্থ আগে দেখতে হবে। সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য সর্বাগ্রে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি আয়রাকে দেখতে পেলাম না। আমি আর তাহসান লড়াই করলাম, এই ইগোর যুদ্ধে তো বাচ্চার ক্ষতি হবে। তাই তাহসানের সঙ্গে এখনও আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। আমাদের প্রায়সই কথা হয় মেয়েকে নিয়ে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *