মাঝরাতে বাড়ির সামনের রাস্তায় একদল যুবক। তারা মনের সুখে বাজি পোড়াচ্ছেন। দীপাবলি? না, টলিউড সুপারস্টার জিতের জন্মদিন। যারা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন তারা নায়কের ভক্ত। ভালবাসার মানুষকে এভাবেই ভালবাসা জানিয়েছেন। তাদের অবাক করে মধ্যরাতে বারান্দাতে দেখা দিয়েছেন জিৎ! এক মুখ হাসি নিয়ে হাত নেড়েছেন ভক্তদের উদ্দেশে। ঠিক বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান যেভাবে তার জন্মদিনের প্রথশ প্রহর উদযাপন করেন।
সকালবেলা আলো ফুটতেই আবার বাড়ির সামনে ভক্তের ঢল। নির্দিষ্ট সময়ে সাদা-কালো শার্ট, কালো ট্রাউজার্সে বাড়ির দোতলার বারান্দা এলেন জিৎ। এবার সঙ্গী স্ত্রী মোহনা, মেয়ে নবন্যা, ছেলে রোনাভ, বাবা, ভাই। নায়ক হাত নাড়াতেই উল্লাস শুরু। নায়কের হাতে উঠে এল মাইক্রোফোন। বললেন, ‘আমি কোনও ঈশ্বর নই যে ছেড়ে দেব, আর রাক্ষস নই যে মেরে দেব’। ‘শত্রু ১’-এর সংলাপ তার মুখে, নেপথ্যে বাজছে জিতের ‘বস’ ছবির গান। প্রিয় নায়কের দর্শনে ততক্ষণে উত্তাল ভক্তরা। তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও ভুল করলেন না।
এখানেই শেষ নয়। অনুরাগীদের দেখা দিয়ে তিনি চলে গেলেন বাড়ির এক তলায়। সেখানে বড় টেবিলে সাজিয়ে রাখা নানা স্বাদের কেক। কোনওটা রেড ভেলভেট, চকোলেট, ভ্যানিলা। আবার কোনওটা ব্ল্যাকফরেস্ট। ঝড়ের গতিতে নিপুণ হাতে একের পর এক কেক কাটলেন জিৎ। সাক্ষী পরিবার এবং সেই ভক্তরা। ৪৬তম জন্মদিনের প্রথম ভাগ এভাবেই কাটিয়ে ফেলেন জিতেন্দ্র মদনানি! যিনি জন্মসূত্রে অবাঙালি হয়েও সর্বাংশে বাঙালি। তিনটি দৃশ্যের ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। সেখানেই শাহরুখ খানের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন সকলে।
বয়স যতই বাড়ুক কিংবা ছবি যেমনই ব্যবসাই করুক— তার অনুরাগী সংখ্যায় কিন্তু চিড় ধরেনি। এখনও বাংলা ছবির সনাতনী ধারা মেনে তিনি পুরোপুরি বিনোদনধর্মী ছবিতে নিবেদিতপ্রাণ। এভাবেই কি আগামী বছরগুলোও কাটিয়ে দেবেন তিনি? নাকি শহুরে রীতি মেনে ছবির ভাবনায় বদল আনবেন?
জিতের সাম্প্রতিক ছবি ‘ব্যুমেরাং’ বলছে, তিনি মধ্যপন্থী। আমজনতাকে একেবারে অস্বীকার করে ধ্রুপদী হয়ে ওঠায় বিশ্বাসী নন। সে কথা তিনি জন্মদিনেও বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের ঝাঁঝালো সংলাপের পাশাপাশি তিনি অনুরাগীদের আশ্বাস দিয়েছেন, ‘একসাথে এক হয়ে এগিয়ে চলার মানে জিৎ’।