টেস্ট আঙিনায় ২৪ বছর হয়ে গেছে। এখনও যেন টেস্ট ক্রিকেটটা ঠিক ঠাউরে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশি ক্রিকেটার বিশেষ করে ব্যাটারদের খেলা দেখলে মনে হয়, সদ্যই টেস্ট মর্যাদা পাওয়া একটি দলের সদস্য তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল হার। দ্বিতীয় টেস্টেও বড় হারের মুখেই বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে টাইগাররা টেস্টটাকে পাঁচদিন পর্যন্ত টেনে নিয়েছে ঠিক, কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেই ব্যর্থতার গল্প।

প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ৫৩১ রানের পাহাড়ের জবাবে ১৭৮ রানেই অলআউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সামনে ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। জিততে হলে গড়তে হবে বিশ্বরেকর্ড। তবে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচ চতুর্থ দিনেও যেমন ব্যাটিং সহায়ক দেখা গেছে। উইকেট ধরে রাখতে পারলে আশাবাদী হতে পারতেন টাইগার সমর্থকরা। সেই আশা কি আছে? মোটা দাগে বললে, নেই। কেননা বাংলাদেশের হাতে আছে মাত্র ৩টি উইকেট। জিততে হলে পঞ্চম দিনে করতে হবে আরও ২৪৩ রান। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে ক্রিজে কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ।

প্রথম ইনিংসটাই বলতে গেলে সব শেষ করে দিয়েছে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দুইশর আগেই অলআউট হওয়া, কেন এমন ব্যর্থতা? চতুর্থ দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মুমিনুল হক অনেক কথার ভীড়ে সত্যটা প্রকাশ করেই দিলেন। বললেন, ঘরোয়া ক্রিকেট আর টেস্ট ক্রিকেটের মানে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এটাই তাদের ভোগায়। ব্যাটিং ব্যর্থতার প্রসঙ্গ আসতেই মুমিনুল একরাশ হতাশা নিয়ে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের মান আর টেস্ট ক্রিকেটের মান কী এক?’

টাইগার ব্যাটার যোগ করেন, ‘শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। আকাশ-পাতাল তফাত। আপনারাও জানেন। আমিও জানি। সবাই জানে। এটা অজুহাত নয়। আমি নিজেও জাতীয় লিগ খেলি। এখানে (টেস্টে) যে ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়, সেখানে তা হয় না। আমার কথা হয়তো অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সততার জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *