বেশ কয়েকদিন ধরে টলিপাড়ায় একের পর এক যৌন হেনস্থা ও মানসিক অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। তারকা থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পী এমনকি পরিচালক-প্রযোজকদের বিরুদ্ধেও আওয়াজ উঠছে। সম্প্রতি কলকাতার এক অভিনেত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন টালিউড পরিচালক সৌম্যজিৎ আদক। দক্ষিণ কলকাতার এক উঠতি অভিনেত্রী দায়ের করা অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনি।

সেই অভিনেত্রী দাবি করেন, কাজ দেওয়ার নাম করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন সৌম্যজিৎ। এ ঘটনায় এবার সৌম্যজিৎ আদককে ধিক্কার জানালেন শ্রীলেখা। পাশাপাশি টলিপাড়ার মাথায় বসে যারা কলকাঠি নাড়ছেন তাদেরকেও একহাত নিয়েছেন এই তারকা।

সৌমজিতের ঘটনায় যেন একটুও অবাক হননি শ্রীলেখা। কারণ এর আগেও নাকি এই পরিচালকের নামে একাধিক অভিযোগ এসেছে। যে কারণে এবারের ঘটনায় শ্রীলেখা এতটুকুও অবাক না হয়ে জানতে চাইলেন, এখন সব মাথারা কোথায়? তারা কোথায় গেল, যারা ফেডারেশনের মেম্বার? ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে শ্রীলেখা বলেন, কোথায় গেল এখানকার টালিগঞ্জের সব কমিটি, যেখানে আমি ছাড়া সবাই মেম্বার? শুনেছি এই ধর্ষকের নাকি সম্পর্ক আছে টলিপাড়ার সব প্রথমসারির কর্তাদের সঙ্গে। এমনকি সরকারের সঙ্গেও। চিন্তা নেই, আরজি করের ধর্ষক এবং খুনিরা পার পেয়ে গেল। এ তো চুনোপুটি তাদের কাছে। বাংলা নিঃসন্দেহে এগিয়ে। এমনি এমনি কি আর ‘Waste Bengal’ বলি?

এদিকে পরিচালকের বিরুদ্ধে উঠতি সেই অভিনেত্রী অভিযোগ করে বলেন, রবীন্দ্র সরোবর এলাকায় একটি বুটিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সৌম্যজিৎ। কাজ দেওয়ার কথা বলে সেখানেই তাকে ডেকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন পরিচালক।

যদিও টলিউড পরিচালক প্রাথমিকভাবে ওই উঠতি অভিনেত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে সৌম্যজিৎকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। চলছে তদন্তের কাজ। সৌম্যজিৎ প্রাথমিকভাবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তার কথার সত্যতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এফআইআর অনুযায়ী, আগস্ট মাস নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। আর ৪ ডিসেম্বর অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

সৌম্যজিৎ আদক একাধিক ছবিতে পরিচালক ও সহ-পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। তার শেষ পরিচালিত ছবি ছিল, ‘তিলোত্তমা’। অভিনয়ে ছিলেন- পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, নীল-তৃণা। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘গুলদাস্তা’ ছবির ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসারও ছিলেন সৌম্যজিৎ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *