গণআন্দোলনে দেশ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমি মাতা’ আখ্যা দিয়ে তার কড়া সমালোচনা করেছেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অবাধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়েছেন, ধর্মান্ধতা ছড়িয়েছেন, এবং তাঁর সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ সন্তানেরাই তাঁকে ঢাকার মসনদ থেকে উৎখাত করেছেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) নিজের ফেইসবুকে আইডিতে এসব কথা লেখেন ভারতে নির্বাসিত এই লেখিকা। তসলিমা লিখেছেন, ‘শেখ মুজিবর রহমানের কোনও একটি আদর্শও শেখ হাসিনা মানেননি। দেশ জুড়ে তিনি তার পিতার ভাস্কর্য গড়েছেন, কিন্তু তার পিতার গড়ে তোলা সংবিধান মানেননি। যে চারটে স্তম্ভের ওপর বাংলাদেশকে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন তার পিতা, তা আর কেউ উপেক্ষা না করলেও শেখ হাসিনা করেছেন। বুদ্ধির মুক্তির জন্য যে-সব প্রতিষ্ঠান বিখ্যাত ছিল, সেসবকে ধর্মের অন্ধকার কূপ বানিয়ে ছেড়েছেন।’ তিনি বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা অবাধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়িয়েছেন, ধর্মান্ধতা ছড়িয়েছেন, এবং তার সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ সন্তানেরাই তাকে ঢাকার মসনদ থেকে উৎখাত করেছেন। আজ যদি তার সন্তানেরা শরিয়া আইন নিয়ে আসে, মানবাধিকার এবং নারীর অধিকারের তিলমাত্র যদি কিছু না থাকে, তার দায় কওমি মাতা হাসিনারই।’ এর দুদিন আগে গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) শেখ হাসিনার ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তসলিমা নাসরিন।

তিনি লেখেন, শেখ হাসিনা আমার বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি করেছেন। আমাকে তিনি আমার পৈতৃক সম্পত্তির কানাকড়িও পেতে দেননি। সম্পত্তি পেতে হলে আমাকে দেশে উপস্থিত থাকতে হবে অথবা দেশের কাউকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হবে, যে আমার হয়ে সম্পত্তি বুঝে নেবে অথবা বিক্রি করবে। আমাকে যেহেতু শেখ হাসিনা দেশে ঢুকতে দেননি, আমি আমার বোনকে পাওয়ার অব এটর্নি দিয়েছিলাম। পাওয়ার অব অ্যাটর্নির ডকুমেন্ট বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করতে হয়। তবে শেখ হাসিনার নির্দেশে বা ভয়ে দূতাবাসের কেউ তার পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সত্যায়িত করেননি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *