সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী স্ট্যাটাসে ভারতে অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই বাংলাদেশের। ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় সম্প্রতি খবর বের হয়েছে যে, তাকে সে দেশে ‘রেসিডেন্সি পারমিট’ দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মিডিয়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কোনো কোনো মিডিয়ায় বলা হয়েছে যে, তাকে ট্রাভেল পাশও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে বুধবার (৮ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকরা পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরাও আপনাদের মতো পত্রিকায় পড়েছি। এ ব্যাপারে আমাদের কী করার আছে!’
ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ ভারতে কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয় না। তবে রেসিডেন্স পারমিট অনেককে দেওয়া হয়েছে। অতীতে আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাসহ অনেকে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এসব বিষয়ে ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের আশ্রয় দেয়। শেখ হাসিনাকে ভারত প্রাথমিকভাবে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে চিঠি দিয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিলে সরকার তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের কাছে ‘নোট ভারভাল’ পাঠায়।
জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো নোট ভারভালের জবাব এখনো ভারতের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।’
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশের নোট ভারভাল পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেছেন, শেখ হাসিনার ব্যাপারে ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানায় বাংলাদেশ। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি নোট নিয়েছেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন।