আগের দিনে খুব একটা খেলা হয়নি। মাঠে গড়িয়েছিল কেবল ১ সেশনের খেলা। তাতেই বাংলাদেশ খুইয়ে বসে ২ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় দিনেও বাংলাদেশ বজায় রেখেছে ব্যর্থতার সেই ধারা। সকালের রোদে ১৩ ওভার খেলার আগেই নেই টাইগারদের ৩ ব্যাটার। আরও একবার ১০০ রান করার নেই শেষ বাংলাদেশের ৬ উইকেট। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার সাদমান ইসলাম এবং শাহাদাত দীপু এদিনও ছিলেন সাবধানী। শুরু থেকে খুব একটা রান বাড়ানোর দিকে মন দিতে দেখা যায়নি তাদের। ক্রিজে সেট হয়েও অতি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই পেরিয়েছে সময়। ৮ ওভারে উঠেছিল ১৪ রান। এরপরেই আসে প্রথম আঘাত। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই খেলতে চেয়েছিলেন ৮৮ বল খেলে ২২ রান করা দীপু। কিন্তু শামার জোসেফের ডেলিভারি ভেঙেছে তার স্ট্যাম্প।

এরপরেই ক্রিজে আসা যাওয়ার মিছিলে নাম লেখালেন লিটন কুমার দাস এবং জাকের আলী অনিক। একজন টিকলেন ৬ বল আর অন্যজন টিকেছেন ১০ বল। দীপু ফেরার পরের ওভারেই লিটনকে প্যাভিলিয়নের পথে ফেরত পাঠান জেইডন সেইলস। শুরু থেকেই অস্বস্তিতে থাকা লিটন ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। দুই ওভার পর ফের সেইলসের আঘাত। বাড়তি বাউন্সের বলটা জাকের চেয়েছিলেন পুল করতে। ব্যাটে-বলে হয়নি। কানায় লেগে বল আঘাত করে জাকেরের কাঁধে। সেটাই পরে চলে যায় উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভার গ্লাভসে। ১০ বলে তার রান মোটে ১। দ্বিতীয় দিনের এই উইকেট হারানোর মিছিলে বাংলাদেশের একমাত্র স্বস্তি ছিল সাদমান ইসলামের ফিফটি। অন্যদের এই মিছিলে অবশ্য শামিল হয়েছেন তিনি নিজেও। শামার জোসেফের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছনে। বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া বলে সলিড ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ক্যাচ চলে যায় জশুয়া ডি সিলভার হাতে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্রিজে আছেন দুই মেহেদী হাসান মিরাজ এবং তাইজুল ইসলাম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *