সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর সংসদও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী রুবেল গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম সাকিবকে আসামি করে মামলা করেন।
এ কারণে জাতীয় দলে সাকিবের ভবিষ্যত নিয়েও কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়। তবে বিসিবির নতুন সভাপতি জানিয়েছেন, আপাতত তার খেলায় কোনো বাধা নেই। এমন অবস্থায় সাকিবের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান।
বুধবার মিরপুরে সাকিব ইস্যুতে রকিবুল বলেন, ‘অবশ্যই আমি ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবের পাশে থাকব। এজন্যই থাকব, (তার বিরুদ্ধে) মামলা হতেই পারে। মামলা হওয়া মানেই এটা ম্যাটার করে না যে আমি অপরাধী। ক্রিকেট বোর্ড তার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি স্যালুট করি নতুন কমিটিকে, তারা বলেছে দরকার হলে আইনগত সহায়তাও দেবে।’
একইদিন সাকিবকে গ্রেফতারের বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপার, আমরা যেটুকু বলার বলেছি। মামলা বা এফআইআর হওয়া মানেই কিন্তু গ্রেফতার হওয়া না। আমার বিশ্বাস স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে যাতে কেউ অতি উৎসাহিত হয়ে গ্রেফতার করতে না যায়।’
এ ছাড়া সাকিবের খেলা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে গতকাল বিসিবি সভাপতি ফারুক বলেছিলেন, ‘সাকিবের ব্যাপারটা এফআইআর হয়েছে। আমরা লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিয়েছি বোর্ড থেকে, যেহেতু সে চুক্তিভিত্তিক ক্রিকেটার। আমরা বোর্ড থেকে তাকে সাপোর্ট করব লিগ্যালি। এই সময়ের মধ্যে ওর খেলতে কোনো অসুবিধা নেই।’