আধুনিক বাংলা সাহিত্যের জনক মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মদিন শনিবার। প্রতি বছর কবির জন্মদিন উপলক্ষে দেশের বিদগ্ধ সাহিত্যিকরা সাহিত্য আলোচনায় অংশ নেন। বিশেষ করে কবির জন্মভিটা যশোর জেলার কেশবপুরে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে সাগরদাঁড়িতে মধুসূদনকে স্মরণ করা হয়। এখানে সপ্তাহব্যাপী মেলায় শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। সাহিত্য আলোচনা শোনেন মধু ভক্তরা।

প্রতি বছরের মতো মধুসূদন দত্তের সাহিত্য কর্মের ওপর আলোচনায় থাকবে- বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাটক শর্মিষ্ঠা, অমিতাক্ষর ছন্দে পদ্মবতী, মহাকাব্য মেঘনাদ কাব্য। জন্মভূমির প্রতি নিখাদ ভালোবাসায় কবি লেখেন কপোতাক্ষ নদ। ‘সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে/সতত তোর কথা ভাবি এ বিরলে।’

‘রেখো মা দাসেরে মনে, এ মিনতি করি পদে

সাধিতে মনের সাধ, ঘটে যদি পরমাদ,

মধুহীন করো না গো তব মনঃকোকনদে।’

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের এই মিনতি বাংলা মায়ের কাছে। এভাবে তিনি বাংলা ভাষাভাষী প্রতিটি মানুষকে ঋণী করে গেছেন। সেই ঋণ অবনত মস্তকে পরিশোধ করে চলেছেন গোটা দেশের সাহিত্যপ্রেমী মানুষ।

১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সাগরদাঁড়িতে মধুসূদন দত্তের জন্ম। তার বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত ও মা জাহ্নবী দেবী। মধুসূদনকে সাত বছর বয়সে তার বাবা কলকাতায় নিয়ে যান। সেখানে হিন্দু কলেজে (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) তিনি পড়ালেখা করেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *