দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেছেন। পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে সামরিক আইন জারির পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পদত্যাগ করলেন তিনি। তার পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল।

এদিকে সদ্য পদত্যাগ করা প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে সৌদি আরবে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চোই বিয়ুং-হিউককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টি কিমকে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপনের পরপরই বুধবার পদত্যাগ করেন তিনি। ইয়ুনের পিপলস পাওয়ার পার্টির নেতারাও সামরিক আইন জারির পরামর্শ দেওয়ার জন্য তার অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন।

এমতাবস্থায় দায় স্বীকার করে কিম বলেন, সামরিক আইন সম্পর্কিত সমস্ত পদক্ষেপ তার কর্তৃত্বের অধীনে পরিচালিত হয়েছিল। জনসাধারণের ‘উদ্বেগ ও বিভ্রান্তির’ জন্য ক্ষমাও চান তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণকালে প্রেসিডেন্ট আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। অবশ্য পরে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতা ও দেশটির সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের মুখে সেটি প্রত্যাহারের কথা জানান। তবে এ নিয়ে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

মূলত সামরিক আইনের ডিক্রি জারি এবং পরে সেটি প্রত্যাহারের পরও পদত্যাগের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এরই মধ্যে ছয়টি বিরোধী দল তাকে অভিশংসনের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। শুক্রবার বা শনিবার মধ্যরাতের মধ্যে এ বিষয়ে সংসদে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টিও। বিরোধী দলের একজন সংসদ সদস্য জানিয়েছেন, প্রস্তাবের ওপর ভোট হলে আমরা জয়ী হবো। কারণ, সংসদে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।

অন্যদিকে কোরিয়ার সরকারি বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, “ক্ষমতাসীন দলের বৈঠকে অংশ নেওয়া বেশকিছু সংসদ সদস্যও তাদের অবস্থান পরিস্কার করে বলেছেন, তারা অভিসংশনের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *