একদিকে মৃত্যুভয়, অন্যদিকে জীবন উদ্‌যাপনের হাতছানি। শুক্রবার কোনদিকে ঝুঁকলেন সালমান খান? পাপারাজ্জিদের ক্যামেরার চিত্র বলছে, এ বছর আর হৃদয় নয়, মস্তিষ্ককে প্রাধান্য দিয়েছেন ভাইজান। সেই জোরেই তিনি মৃত্যুভয় এড়িয়েছেন, জন্মদিনের উল্লাসেও মেতেছেন। তার হাসিমুখ দেখতে বড় ঝুঁকি নিয়েছে ভারতের শীর্ষ ধনী আম্বানী পরিবার। যে কোনও সময় সালমানের ঘনিষ্ঠদের উপরে হামলা চালাচ্ছে কুখ্যাত লরেন্স বিশ্নোইয়ের দলবল। সেই ভয় সরিয়ে ২৭ ডিসেম্বর জামনগরে ব্যবসায়ী পরিবারের রিসোর্টে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হলো ভাইজানকে।

সেখানেই সালমানের জন্মদিনের জমজমাট উদ্‌যাপন। যা দেখে বলিউড বলছে, অনন্ত আম্বানীর বিয়েতে গানের তালে নাচতে দেখা গিয়েছিল ৫৯ বছরের অভিনেতাকে। এই সুযোগে আম্বানীরা বোধ হয় সেই ঋণ মেটালেন! কারণ বর্তমানে যারাই সালমানের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তারাই লরেন্স বিশ্নোই গ্যাংয়ের নিশানা হচ্ছেন। বিভিন্নভাবে হুমকি পাচ্ছেন। তবে আম্বানি পরিবার সেসবের তোয়াক্কা না করেই সালমানের পাশে দাঁড়ালেন।

ভাইজান জামনগরে আসছেন, খবর ছড়াতেই বিমানবন্দরের সামনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কালো পোশাকে মুড়ে, নিরাপত্তারক্ষীদের বেষ্টনির মধ্যে থেকেই হাসিমুখে সালমান হাত নাড়েন উপস্থিত সকলের উদ্দেশে। বাইরে তখন দিনের আলো ফিকে হয়ে আসছে। জন্মদিনের রাত প্রতিবারের মতোই রঙিন। আম্বানী পরিবারের নিরাপদ ঘেরোটোপে সন্ধ্যা গাঢ় হতেই আকাশে আতসবাজির রোশনাই। রিসোর্টের গেটের উপর লেখা ‘শুভ জন্মদিন ভাই’। নেপথ্যে বেজেছে, তার ‘কিক’ ছবির গান ‘জুম্মে কি রাত হ্যায়’।

প্রতি বছর সালমানের জন্মদিনের পার্টি হয় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে, নয় তার বোন অর্পিতা খানের বাড়িতে। জন্মদিনের আগের রাতেই অনেক সময় অর্পিতার বাড়িতে চলে যান সকলে। এ বছরেও সেসব হয়েছে। তবে সালমানের বাড়িতে। সেখানে টেবিলে রকমারি কেকের সারি। ভাগ্নি আর মামার এক তারিখে জন্মদিন। উদ্‌যাপনে তাই কঁচিকাচারাও ভিড় জমিয়েছিল।

সেসব পর্ব মিটতেই সালমান সপরিবারে উড়ে যান গুজরাতের জামনগরে। একটি বিমানে কেবলই তার পরিবারের সকলে। দুই মা সালমা খান, হেলেন থেকে অর্পিতা-আয়ুশ খানের ছোট্ট ছেলে— সবাই ছিলেন সেখানে। বাকি আয়োজনটা হয়েছে আম্বানিদের রিসোর্টেই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *