বয়স চল্লিশের কোটা পার করলেও প্রতিনিয়ত দর্শকদের সামনে নিজেকে নতুনভাবে মেলে ধরেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খান। ওয়েস্টার্ন পোশাক হোক কিংবা বাঙালি সাজ, নিজের গ্ল্যামারাস লুকে ভক্তদের মুগ্ধ করতে রুনার জুড়ি নেই। রুনা খানের ‘আবেদনময়ী’ অবতার নিয়ে দর্শকমহলেও বেশ আলোচনা হয়। বিষয়গুলো নিয়ে কখনোই ভাবেন না বা চিন্তিত হন না বলেই জানালেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, পোশাকে কারো শালীনতা ধরে রাখে না।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের খোলামেলা পোশাক নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে রুনা খান বলেন, ‘যে আপারা সবচেয়ে বেশি সততার আশ্রয় নেন, পর্দার বাইরে অসৎ কাজ করেন কাজ পাওয়ার জন্য, তারাই পর্দায় সবচেয়ে শালীন সেজে থাকার চেষ্টা করেন।’ ‘তাই আমি মনে করি, পোশাকের কারণে কখনো একজন মানুষের শালীনতা, সম্মানহানী হতে পারে না। সেটা তখনই হয়, যখন কেউ চুরি করবে, কাজ পাওয়ার জন্য অসৎ কিছু করবে, সেটাই অশালীন কাজ, মানহীন চর্চা।’ নিজের খোলামেলা পোশাক বিতর্কে রুনা খান আরও বলেন, ‘আমার কাছে পোশাক মানে পোশাক। সবাইকে যে আমার ভাবনার সঙ্গে একমত হতে হবে এমনটা নয়।’ রুনা খান বিষয়টি ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘কেউ সুইমিংপুলে কি সালোয়ার কামিজ পরে নামবে? আবার কেউ বিয়ে বাড়িতে গেলে কি সুইমিং কস্টিউম পরে যাবে? তেমনটা তো না। যার যেটা ভালো লাগবে সেটাই পরবে।’ অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি তো অভিনেতা-মডেল। আমি আমার পছন্দে কাজ করব। দর্শক হিসেবে আপনি আমার কাজ পছন্দ করতে পারেন, নয়তো যিনি লম্বা হাতা পোশাক পরে কাজ করছেন, তার কাজও পছন্দ করতে পারেন। এসব নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’ টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয় রুনা খানের। ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া ছিটকিনি ছবিতে কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন।

নাটক, সিনেমা বাদেও বিজ্ঞাপন ও মডেলিংয়েও বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় রুনা খানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *