উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী সপ্তাহে লন্ডন যেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবার ঢাকা ছাড়তে পারেন তিনি।
অসমর্থিত সূত্র বলছে, এদিন একটি বিশেষায়িত বিমানে করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক, নার্স ও ব্যক্তিগত সহকারীর লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে গত ৩০ ডিসেম্বর যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার তারিখ সুস্পষ্টভাবে বলতে পারব না। কারণ, ওনার শরীর মাঝে মধ্যে একটু খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। এখন মনে হয়, নতুন বছরের প্রথম দিকেই যাবেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ম্যাডাম বিদেশ যাবেন এটা ঠিক আছে। তবে ৬ জানুয়ারি যাওয়ার বিষয়টি চ‚ড়ান্ত হয়নি।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যাবে। যার মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।
এর আগে ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘দীর্ঘযাত্রার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মালটিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লন্ডন থেকে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই খালেদা জিয়া লন্ডন গিয়েছিলেন। এরপর একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তখন দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।