কুমিল্লায় স্কুল থেকে ফেরার পথে তাফরিন সুলতানা ঝুমুর (৯) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নিহতের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এদিন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের খেয়াইশ (খিলপাড়া) এলাকার একটি ধানের জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে পড়ে ছিল বই-খাতাসহ স্কুলব্যাগ ও পোশাক।
নিহত ঝুমুর স্থানীয় সোনালী শিশু বিদ্যানিকেতন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সকাল ১০টায় স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফিরছিল ঝুমুর। এ সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা খিলপাড়া এলাকায় একটি ধানী জমিতে নিয়ে হত্যা করে ফেলে যায়। দীর্ঘ সময় ঝুমুর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোনো সন্ধান না পেয়ে দুপুরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেন শিশুটির মা।
বিকেল ৩টায় খিলপাড়া এলাকায় একটি ধানের জমিতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
শিশুটির মা রাজিয়া বেগম বলেন, আমাদের সঙ্গে কারো শত্রুতা নেই। কেন আমার এই অবুঝ শিশুটিকে এভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হলো? আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার (আজ) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের মা রাজিয়া বেগম বাদী হয়ে রাতে থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামি গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।