দিনাজপুরে নতুন বছরের তৃতীয় দিন হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। জেলায় তাপমাত্রা কমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। প্রচন্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিসহ অন্যান্য প্রাণিকূলও কাহিল হয়ে পড়েছে।বেড়েছে শীতজনিত রোগব্যাধি। ফলে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগির সংখ্যা বেড়েছে।

নতুন বছরের তৃতীয় দিন সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইছে। গত তিন দিন থেকে দিনাজপুরে দেখা মিলছে না। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও মুহুর্তের মধ্যেই হারিয়ে গেছে।
শীত থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। প্রচন্ড শীতে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে লোকজন ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যার পর কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

এদিকে শীতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শহরের কাচারি বাজারে ও শহরের বিভিন্ন মোড়ে অস্থায়ী গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও শীতার্ত মানুসের ভিড় বেড়েছে। ফলে বেচাবিক্রিও বেড়েছে। এতে খুব খুশি দোকানিরা।

শহরের চাউলিয়াপট্টি এলাকার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকচালক নুর ইসলাম বলেন, ভাই এই ঠান্ডার মধ্যে ঘর থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। বের না হলে কি খাবো? তাই পেটের তাগিদে বের হয়েছি।

এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। ফলে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ফলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ জেলা বিভিন্ন হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বেড়েছে।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার (৩ জানুয়ারি ২০২৫) দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, আগামী ২/১ দিন এই আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তারপর এই অবস্থার সামান্য উন্নতি হতে পারে বলে তিনি জানান। এছাড়া ২ জানুয়ারি শুক্রবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *