পৌষের শেষে সুন্দরবন সংলগ্ন মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপকূলে কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ। গত কয়েক দিন ধরে সূর্যের দেখা না মিললেও এখন মাঝে মাঝে ঊঁকি দিচ্ছে । তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় বেশি দূর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। তবে উল্টো চিত্র সুন্দরবন ভ্রমণপিপাসুদের। ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা প্রকৃতির এক অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন দেখতে ছুটে এসেছেন। সুন্দরবনকে কিভাবে সাজিয়েছে প্রকৃতি, তা দেখতে ছুটে এসেছেন দেশ বিদেশী পর্যটকরাও।
শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ বর্তমানে সুন্দরবনের প্রধান প্রধান স্পট সহ করমজলে পর্যটকদের ভিড় ভেড়েছে। আগত পর্যটকেরা ট্রলার ও লঞ্চে করে বনের নানা প্রান্তে গিয়ে উপভোগ করেছেন প্রাকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের সৌন্দর্য। পর্যটকদের ভিড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে পর্যটনকেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানায়।
জানা যায়, সুন্দরবনে সারি সারি সুন্দরী , পশুর, কেওড়, গেওয়া এবং গোলপাতা গাছ রয়েছে। দৃষ্টি যতদূর যায় সবখানেই যেন কোনো শিল্পী সবুজ অরণ্য তৈরি করে রেখেছেন। অপরূপ চিত্রল হরিণের দল, বন মোরগের ডাক, বানরের চেঁচামেচি , মৌমাছির গুঞ্জন ও বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গর্জন। এসব বৈচিত্রময়তার কারণে বরাবরই বিদেশি পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনের কদর আলাদা। গত দুই বছর করোনার কারণে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা তলানিতে নেমে এসেছিল। কিন্তু বর্তমানে সে চিত্র পাল্টে গেছে পুরোটাই।