ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবকে সরকারি উদ্যোগে নানা আয়োজন করে সবার কাছে জাগ্রত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের নানা অপকর্মকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। সবশেষ দেশে হাসিনা সরকার যে গণহত্যা চালিয়ে পালিয়ে গেছে তার চিত্রও এখানে ফুঁটে উঠেছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ তার সব দোসরকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
গণঅভ্যুত্থান নিয়ে শিবিরের অভিনব আয়োজন “ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই” পরিদর্শনে।রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে যান নূরুল ইসলাম বুলবুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্রশিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম। গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অভিনব “ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই” আয়োজন করায় ছাত্রশিবিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বুলবুল বলেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ। মত প্রকাশের সুযোগ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে আমরা যখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই জুলুম, নির্যাতন এবং নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছি। তিনি ছত্রিশে জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সব মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, গণহত্যাকারী হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আজকের শিবিরের ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই এই ধরনের আয়োজন করার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই পরিদর্শনে আপনারা আসুন। ২৪ এর আন্দোলনের যে স্পিরিট সেটা অনুধাবন করে যান। বৈষম্য বিরোধী ও দাসত্ব থেকে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষা ছাত্র জনতা যে ভূমিকা রেখেছিল তার স্থির চিত্র দেখে যান।
শিবির সভাপতি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের দীর্ঘ পনের বছর অন্যায় জুলুমের দৃশ্যগুলো দেশবাসীর জানা থাকা উচিত। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়ক হবে। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কীভাবে স্বৈরাচার পালিয়েছে তা জেনে রাখুন।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নতুন যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি সেখানে ছাত্রশিবিরের কী ভূমিকা তা দেশবাসী স্পষ্ট করেই জানেন। দেশের প্রয়োজনে এই ছাত্র সংগঠন যে মাইলফলক তা সবার জানা। আজকের এই ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই আয়োজনটি দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় প্রদর্শনী হওয়া জরুরি। ভবিষ্যত বাংলাদেশকে আরও সুন্দর করে গড়তে প্রতিটি অভিভাবককে ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই এই প্রদর্শনী দেখে যাওয়া প্রয়োজন।