জয় ছিল হাতছোঁয়া দূরত্বে। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। এমন সময়েই ক্রিশ্চিয়ান নরগার্ডের গোল। ২-০ থেকে মিনিট দশেকের মাঝে স্কোরলাইন হলো ২-২। আরেকটাবার ধাক্কা খেতে হলো ম্যানচেস্টার সিটিকে। ফিল ফোডেনের গোলে ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচটা শেষ হলো ড্র দিয়ে।

প্রতিপক্ষের মাঠে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ফোডেনের নৈপুণ্যে দুই গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এরপর ইয়োয়ান মুসা ব্যবধান কমানোর পর ক্রিস্টিয়ানের গোলে ২-২ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।শুরু থেকেই বল পজেশন নিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ম্যানচেস্টার সিটি। তবে থমাস ফ্র্যাঙ্কের ব্রেন্টফোর্ডও ছেড়ে কথা বলেনি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ ভালোই জমিয়েছিল ম্যাচটাকে। ২৭তম মিনিটে গোলও পেতে পারত সিটি। মাথেউস নুনেস ডি-বক্সে ঢুকে পড়েও গোলে শট নিতে দেরি করেন। সিটি হারায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।

পরের মিনিটে মাতেও কোভাসিচের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৮তম মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার পাস থেকে ধীরগতির শট নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ হারান আর্লিং হালান্ড। বিরতির পরে সিটির গোলমুখেও ভয় ছড়ায় ব্রেন্টফোর্ড। ন্যাথান কলিন্সের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে বেঁচে যায় তারা।

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ৬৬ মিনিটে ডেডলক ভাঙেন ইংলিশ উইঙ্গার ফিল ফোডেন। ডান দিক থেকে ডি ব্রুইনার বক্সে বাড়ানো ক্রসে শূন্যে লাফিয়ে টোকা দিয়ে বল জালে পাঠান ইংলিশ মিডফিল্ডার। ৭৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফোডেন। সাভিনিয়োর শট গোলরক্ষকের গায়ে লেগে ফেরার পর পাল্টা শটে গোল করেন এই উইঙ্গার।

ব্রেন্টফোর্ড অবশ্য চার মিনিট পর একটি গোল শোধ করে । ম্যাডস রোরস্লেভের নিখুঁত ক্রস ছয় গজ বক্সের মুখে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইয়োনে ভিসা। প্রিমিয়ার লিগে ৩৭ গোল নিয়ে এখন তিনিই এককভাবে ব্রেন্টফোর্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আর যোগ করা সময়ে গত চারবারের চ্যাম্পিয়নদের হতাশায় ডোবান নরগার্ড। হেডে বল জালে জড়ান এই ডেনিশ মিডফিল্ডার। লিগে টানা দুই এবং সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন জয়ের পর ফের পয়েন্ট খোয়াল ম্যানচেস্টার সিটি। ২১ ম্যাচে ১০ জয় ও ৫ ড্রয়ে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের টেবিলে ষষ্ঠ স্থানেই আছে সিটি। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ১০ নম্বরে ব্রেন্টফোর্ড।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *