পার্থে দাপুটে জয় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি শুরু করেছে ভারত। আগামীকাল (শুক্রবার) গোলাপি বলে দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে অ্যাডিলেডে। এই ম্যাচে নামার আগে রোহিত-কোহলিদের তিক্ত এক স্মৃতি তাড়া করছে। যদিও সেই ম্যাচে ছিলেন না রোহিত শর্মা। তবে এশিয়ান কোনো দেশের টেস্ট ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের সেই দুঃসহ স্মৃতি তো আর কোনো ভারতীয়’র ভোলা সম্ভব নয়! এখন পর্যন্ত চারটি ‘পিঙ্ক টেস্ট’ খেলেছে ভারত। যার প্রথমটি হয়েছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে। ভারতের প্রথম পিঙ্ক বল টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বাংলাদেশ। সেখানে অবশ্য সহজেই জিতেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দল। বাংলাদেশকে এক ইনিংস ও ৪৬ রানে হারিয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টেই নেমে আসে বিপর্যয়। ২০২০ সালে ভারত স্বাগতিক অজিদের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২০২০-২১ সফরে ভারত সেই বিপর্যয়ে পড়েছিল। অথচ প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান করা সফরকারী দলটি লিডও পেয়েছিল প্রথমে। কারণ অজিদের প্রথম ইনিংস থামে ১৯১ রানে, ফলে ভারত ৫৩ রানের লিড পায়। দ্বিতীয় ইনিংসে জশ হ্যাজলউড ও প্যাট কামিন্সের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ভারতের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপ। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৯ রান করেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। দলের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি। হ্যাজলউড ৫ এবং কামিন্স ৪ উইকেট শিকার করেন। কোহলির দল মাত্র ৩৬ রানেই অলআউট হওয়ায় অজিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৮৯ রানের। যা স্বাগতিকরা জো বার্নসের ফিফটিতে ৮ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায়। তবে সিরিজে সেটাই ছিল ভারতের একমাত্র হার। কোহলি-রাহানেরা স্মরণীয় সিরিজটি জিতেছেন ২-১ ব্যবধানে। সেই সময় ভারতীয় দলের কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী। বিপর্যয়ের সেই সময়টা খুব দ্রুত তাদের মোকাবিলা করতে হয়েছিল বলে আরেকটি অ্যাডিলেড টেস্টের আগে জানালেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। শাস্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি না যে সেটি (অ্যাডিলেড বিপর্যয়) তাদের (বর্তমান ভারতীয় দল) স্মৃতিতে তাড়া করবে। কারণ গোলাপী বলের সেই টেস্টে সময়টা খুব দ্রুত পাল্টে গিয়েছিল। এক সেশনের খেলা যখন আপনার পক্ষে থাকবে না এবং বোলিং খুব ভালো হয়, যা ঘটার খুব দ্রুতই ঘটে যায়।’

তবে এবার অস্ট্রেলিয়াই বেশি চাপে বলেও মনে করেন রবি শাস্ত্রী, ‘৪০ বছরেরও বেশি সময় আমার ক্রিকেট দেখার অভিজ্ঞতা আছে। সত্যিকার অর্থে আমি এমন সেশন আর দেখিনি, যেখানে ব্যাটাররা এত বেশি খেলতে সংগ্রাম করেছে এবং বল মিস হয়েছে। কোনোভাবেই ব্যাটে বল আসছিল না। সেই দিনে আসলেই ব্যাটাররা দুর্ভাগ্যের মুখে পড়েছিল। এবার ভারতের সামনে বড় সুযোগ আছে স্ক্রু টাইট করার। অস্ট্রেলিয়ার ওপরই চাপটা থাকছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *