প্রথম দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৫০ রান, এরপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই দ্রুত ২ উইকেট তুলে নিলেন হাসান মাহমুদ। ২৬১ রানের মাথায় নেই ৭ উইকেট। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা ধরেই নিয়েছিলেন, ৩০০ রানের আশপাশে হয়তো ক্যারিবীয়দের বেধে ফেলতে পারবে টাইগার বোলাররা।

কিন্তু সবার সব হিসাব উল্টে দিলেন জাস্টিন গ্রিভস এবং কেমার রোচ। ১৪০ রানের বিশাল এক জুটি গড়লেন এ দু’জন। যদিও তাদের এ জুটির পেছনে বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডারদেরও কম অবদান ছিল না। আউট হলেও আবেদন করে না বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা, তাতে এমন জুটি গড়া তাদের জন্য খুবই সহজ।

৬ নম্বরে নামা ক্যারিবীয় ব্যাটার জাস্টিন গ্রিভস ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। ১৮১ বল খেলে ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করলেন গ্রিভস। ২০৬ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় দলীয় ৪৫০ এর মাইলফলকে পৌঁছার পরই অধিনায়ক কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ইনিংস ঘোষণা করলেন।

দিনের অন্তত ২৭ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ তৈরি করে দিলেন ক্যারিবীয়রা।

অ্যান্টিগায় টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের দিনে দারুণ বোলিং করে উইকেটশূন্য ছিলেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সাফল্য পেয়ে যান। সকালের সেশনে দুই উইকেট নিয়ে গড়েছেন নতুন ইতিহাস।

দিনের প্রথম ওভারেই আজ হাসান মাহমুদ পেয়েছিলেন উইকেটের দেখা। এলবিডব্লু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জসুয়া দা সিলভাকে। পরে ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে হাসানের ভাগ্যটা ভালো বলতেই হয়। আম্পায়ার্স কলে আউট হন এই ব্যাটার। খানিক পর আবার আঘাত। এরপর ফেরালেন আলজারি জোসেফকে। একই লেন্থে বল ফেলেছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় গালি অঞ্চলে। উড়ন্ত ক্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট এনে দেন জাকির হাসান।

দুই উইকেটের কল্যাণে ইতিহাসে নাম লেখান হাসান। এক ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন হাসান মাহমুদ। ২০২৪ সালেই অভিষেক হয়েছে ক্রিকেটের বনেদি এই ফরম্যাটে। এরপরেই নিজেকে প্রতিনিয়ত প্রমাণ করেছেন লঙ্গার ফরম্যাটে। ক্যারিয়ারের ৮ম ম্যাচে এসে পেয়েছেন ২৫তম উইকেট।

কিন্তু রেকর্ড আর উদযাপনের গল্প এরপর আর বাড়েনি। কেমার রোচ ও জাস্টিন গ্রিভসের জুটিতে বাংলাদেশের হতাশা কেবল বেড়েছে। রোচকে শেষ পর্যন্ত হাসান শিকার বানালেও ততক্ষণে বড় জুটির অংশ হয়ে গিয়েছেন আদতে ক্যারিবিয়ান এই পেসার। অন্যপ্রান্তে যেন উইকেট অটুট রাখার পণ নিয়ে নেমেছিলেন গ্রিভস। শেষ পর্যন্ত রইলেন অপরাজিত।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *