কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্টি ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে দেশের ১১ জেলা। ইতোমধ্যে ১৫ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭৭ উপজেলার ৫৮৪ ইউনিয়নের ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন মানুষ।
পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জেলার পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ছাড়াও কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বেচ্ছাসেবকরাও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনভর বন্যাকবলিত জেলা ফেনীসহ আশপাশের এলাকায় উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। এদিন সকাল ১০টা থেকে দিনভর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে বন্যাকবলিতদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালকসহ (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ৭৭৯ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানোর পাশাপাশি ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ করছে। ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে শিশুসহ মোট ৭৭৯ জন নারী-পুরুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫ জন গর্ভবতী নারী ছাড়াও ১৯ জন বয়োজ্যেষ্ঠ রয়েছেন। ইতোমধ্যে ফেনী থেকে ২৮৭ জন, কুমিল্লা থেকে ১৬৪ জন, চট্টগ্রাম থেকে ১১৫ জন ছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ১১২ জন, নোয়াখালী থেকে ১৩ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ২৩ জন, চাঁদপুর থেকে ৬ জন, মৌলভীবাজার থেকে ৫০ জন ও লক্ষ্মীপুর থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করেছে।