গত কয়েকমাস ধরে টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কানাডার রাজনীতি। শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার পর থেকে একদিকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন। অন্যদিকে ঘরের মাঠে প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

এসবের মধ্যে সম্প্রতি ট্রুডোর দলের একাধিক এমপির পক্ষে দাবি তোলা হয়েছে যাতে ট্রুডো এবার আর প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে না থাকেন। শুধু তাই নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছে জাস্টিন ট্রুডোকে।

বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু লিবারেল সংসদ সদস্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিলে ফল ভুগতে হবে তাকে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ট্রুডোর সামগ্রিক অবস্থান, বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং হাউস অফ কমন্সে তার রাখা বক্তব্য ঘিরে ক্ষুব্ধ দলের এমপিরাই। লিবারেল পার্টির সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তবে যদি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ট্রুডো ইস্তফা না দেন, তাহলে দলের পক্ষ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

আগামী বছর কানাডায় নির্বাচন। কিন্তু দুর্নীতি-সহ একাধিক কারণে ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টির উপর অসন্তুষ্ট সেদেশের নাগরিকরা। ক্রমশ জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন ট্রুডো। গ্লোবাল নিউজের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে বিরোধী দলনেতা কনজারভেটিভ দলের পিয়ের পোয়লিভ্রকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন অধিকাংশ মানুষ। তার পক্ষে রয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষ।

রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে ট্রুডোকে সমর্থন করেন ৩০ শতাংশ। এছাড়াও বিভিন্ন ভোট সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা হারিয়েছে লিবারেল পার্টি। তার মধ্যে ভারত বিরোধীতার সুর তুলে আরও বিপাকে পড়েছেন ট্রুডো। নিজের দলের একাধিক সংসদ সদস্যের সঙ্গে মিটিং সেরেছেন জাস্টিন ট্রুডো। তার দাবি, লিবারেলরা জোটবদ্ধ রয়েছেন।

সূত্রের খবর, তারই দলের ২০ থেকে ২৪ জন সংসদ সদ্যস ট্রুডোকে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সংসদ সদস্য প্যাট্রিক ওয়েইলার একটি নথি পেশ করে জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, ক্যাবিনেট মন্ত্রী নন এমন একাধিক এমপি ট্রুডোকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলেছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *