এমবিবিএস ও ডেন্টালে (বিডিএস) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এবার যারা মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় বসবেন, তাদের মূল্যায়ন হবে ২০০ নম্বরের মধ্যে, আগে যা ৩০০ ছিল। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তির টাকা পরিশোধ করতে পারবেন কিস্তিতে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন সংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এবারের পরীক্ষায় সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসছে নম্বরের ক্ষেত্রে। পরীক্ষার্থীদের আগের মতোই এক ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এর সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসচি বা সমমানের পরীক্ষা থেকে ৫০ করে আরও ১০০ নম্বর নিয়ে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। এতদিন এইচএসসির ১২৫, এসএসসির ৭৫ নম্বরের সঙ্গে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ– এই ৩০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হতো।’
এই পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের সময় এইচএসসির বেশ কিছু পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে কেমিস্ট্রি, বায়োলজিসহ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। মেডিকেল এডুকেশনের জন্য বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এবার যেহেতু পরীক্ষা হয়নি, এসএসসির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে, সে জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে, এইচএসসির ওয়েজেস একটু কমিয়ে দেওয়া হবে। তাই ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন হবে। এমসিকিউ ঠিক থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিসহ অন্যান্য ফি এককালীন দিতে হতো। তবে এবার থেকে তিনটি কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ থাকবে। ভর্তি ফির ৬০ শতাংশ দিতে হবে ভর্তির সময়। ২০ শতাংশ প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষার আগে এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ তৃতীয় প্রফেশনাল পরীক্ষার আগে পরিশোধ করতে হবে।’
মেডিকেলে ভর্তির জন্য ডেভেলপমেন্ট ফি এবং অন্যান্য ফিসহ পুরো টাকা একসঙ্গে দিতে হতো। এত পরিমাণ টাকা একসঙ্গে দেওয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ত। শিক্ষার্থীদের ওপর যেন অর্থনৈতিক চাপ একবারে না পড়ে, সে জন্য কিস্তিতে দেওয়ার ব্যবস্থা করার কথা বলেন মহাপরিচালক।
আগামী ১৭ জানুয়ারি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।