ঋণ একটি মানবাধিকার। কারণ, এটি মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। ঋণ পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত না করে আপনি জীবিকার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন না।’
মঙ্গলবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সম্মেলনের (কপ২৯) এক সাইডলাইন গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একজন কৃষককে ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তিনি উদ্যোক্তা হতে পারেন। প্রতিটি ব্যবসার জন্য অর্থ এবং বিনিয়োগের প্রয়োজন। একজন কৃষক শুধু ফসল ফলান না, বাজারে বিক্রিও করেন। যদি তাঁকে ঋণের সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে তিনি অন্য কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে ও তাঁর জীবনকে উন্নত করার জন্য বিক্রি করতে পারতেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এতে কৃষকদের জন্য ঋণ সহজলভ্য করা যাবে, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী। প্রতিটি দেশে একটি সামাজিক ব্যবসা ব্যাংকিং আইন থাকা উচিত।
সম্মেলনের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস যৌথভাবে ‘এ গ্লোবাল কনভারসেশন: অ্যাকসেস টু ফাইন্যান্স ফর স্মল স্কেল ফারমার্স’ শিরোনামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অতিরিক্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এতে নেদারল্যান্ডসের জলবায়ু দূত বোরবন-পারমার, ডাচ যুবরাজ জেইমি বার্নার্ডোও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইভন পিন্টো বলেন, কৃষকদের ঋণ পাওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী ধানের উৎপাদন বেড়েছে।