রাজধানীর বাতাসে শিরেশিরে ভাব। ঘুম থেকে উঠেই হাত-পায়ের ত্বকে অনুভূত হচ্ছে টানটান শুষ্ক অনুভূতি। আবার মধ্যরাতে ঘুমের মাঝেই হাত চলে যাচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের রিমোটে। বন্ধ করতে হচ্ছে ফ্যানও। বেখেয়ালেই যেন অনেকে আলমারি থেকে নামিয়ে নিচ্ছেন লেপ-তোশক। অনেকেই আবার লেপ-কম্বল রোদেও দিচ্ছেন। শীতের এমন আগমনী বার্তায় সুর মেলাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা ঘিরে থাকছে রাজধানীসহ দেশের উত্তর-পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের খোলা জায়গা ও নদী অববাহিকা। আর শীত পুরোপুরি অনুভূত হতে পারে মধ্য ডিসেম্বরে। এই মিষ্টি শীতের আমেজ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে জানুয়ারিতে।

রোববার আবহাওয়াবিদ শাহনাজ পারভিন জানান, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ঢাকায় শীত পুরোপুরি জেঁকে বসতে পারে। এর আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই তাপমাত্রা কমে আসার কারণে শীত অনুভূত হবে। ঢাকায় শীত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অনুভূত হতে শুরু করবে এবং ডিসেম্বরের শুরু থেকে তাপমাত্রা কমে মাঝামাঝি সময়ে পুরোপুরি জেঁকে বসতে পারে।

এদিকে রোববার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। ধীরে ধীরে কমে সারা দেশে জেঁকে বসবে শীত।

ঢাকায় শীতের সম্ভাব্য সময়সীমার বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাতে ঠান্ডা অনুভূত হবে এবং দিনের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। আর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ ঢাকায় শীতের প্রকৃত অনুভূতি শুরু হতে পারে। আর জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সবচেয়ে বেশি ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান শাহনাজ পারভিন।

এদিকে রাজশাহীর দলগাছীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে সেখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *