জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ধনী দেশগুলো। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য এ সহায়তা দেওয়া হবে। যদিও কয়েকটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, আজারবাইজানে এই সম্মেলনে জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তহবিল নিয়ে সমঝোতার জন্য অতিরিক্ত ৩৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। শেষ পর্যন্ত লম্বা সময় আলোচনার পর দেশগুলো এ বিষয়ে একমত হতে পারল। জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থার প্রধান সাইমন স্টেইল বলেছেন, “কঠিন হলেও আমরা চুক্তিটি করতে পেরেছি”।

যদিও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য যে আহ্বান গত বছর করা হয়েছিল সে বিষয়ে কোনও চুক্তি এবারের সম্মেলনেও করা যায়নি। শনিবার উন্নয়ন দেশগুলো, বিশেষত জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো নাটকীয়ভাবে আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসেছিল। তবে রোববার শেষ পর্যন্ত কিছু পরিবর্তন এনে চুক্তিটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। এ সময় করতালি ও উল্লাস করেন অনেকে। তবে ভারতীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছিল গভীর হতাশা থেকেই গেছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কিছু দেশ প্রতিবাদ জানায়। তাদের দাবি, জীবাশ্ম জ্বালানির বৈশ্বিক ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য চুক্তিতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা খুবই দুর্বল। এদিকে নতুন করে এবার যে অর্থের প্রতিশ্রুতি এসেছে সেটি আসবে সরকারি মঞ্জুরি ও ব্যাংক-ব্যবসার মতো বেসরকারি খাত থেকে। তবে দেশগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যেতে আরও সহায়তা করা দরকার।

৩০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্তত ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার দরকার বলেও দেশগুলো একমত হয়েছে।

বস্তুত, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গোটা বিশ্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাপপ্রবাহ দেখা গেছে। চলতি বছরও গরম আবহাওয়ার রেকর্ড হতে যাচ্ছে। সাথে নিয়মিতই দেখা গেছে দাবদাহ ও প্রাণঘাতী ঝড়। মূলত আবহাওয়ার খামখেয়ালি রূপ দেখা যাচ্ছে সর্বত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *