সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে নতুন একটি সার্চ কমিটি গঠণের খবর জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সার্চ কমিটির তিন সদস্যের ছবি পোস্ট করে ফারুকী জানিয়েছেন, তাদেরকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

তিনজন হলেন, লেখক এবং শিক্ষক সুমন রহমান, পরিচালক-প্রযোজক তানিম নুর ও আদনান আল রাজীব। ফারুকী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, লেখক এবং শিক্ষক সুমন রহমান, পরিচালক-প্রযোজক তানিম নুর এবং আদনান আল রাজীবকে এক্সটারনাল এক্সপার্ট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে একটা সার্চ কমিটি করা হয়েছে আজকে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শ্যামা এই কমিটির সভাপতি হিসাবে থাকছেন।

আপনারা জানেন, আমাদের সাতটা প্রায়োরিটি প্রোগ্রামের একটা ‘রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলুশন’। এর একটা উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ৮ বিভাগ জুড়ে প্রোডাকশন ওরিয়েন্টেড ফিল্মমেকিং ওয়ার্কশপ করা। যে ওয়ার্কশপগুলোর লক্ষ্য দুইটা-

১। প্রতি বিভাগে দশ জন করে প্রতিশ্রুতিশীল ফিল্মমেকারকে হাতে কলমে কাজ শেখানো। এই ওয়ার্কশপ পরিচালনা করবেন আটজন ফিল্মমেকার।

২। এই আট ফিল্মমেকার একই সাথে একটা করে ৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি বানাবেন যে ছবিগুলো জুলাই মাসে রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলেশন ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষ্যে দেখানো হবে। পরবর্তীতে টেলিভিশন এবং অনলাইনেও দেখানো হবে এগুলো। এই ছবিগুলোতে সহকারী পরিচালক হিসেবে হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ পাবেন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীরা।

এই আটটা ওয়ার্কশপ কারা নিবেন এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্টগুলো কারা বানাবেন এটা নির্বাচন করার জন্য সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। আট বিভাগের ভাই-বোনেরা, চোখ রাখুন ওয়ার্কশপের ঘোষণার জন্য। তার আগে চোখ রাখুন, আপনার বিভাগে কে আসছেন জানতে। আশা করি, সার্চ কমিটি দ্রুত বসে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।

আমি তাকিয়ে আছি আজ থেকে পাঁচ বছর পরে যেন এটা শুনতে পাই, কোন একজন ফিল্মমেকার হয়তো এসে আমার সঙ্গে দেখা করে বলবেন- ভাই, আমি একটা ছবি বানিয়েছি। আপনারা যে একটা ওয়ার্কশপ করেছিলেন অমুক বিভাগে, আমি ওইটাতে পারটিসিপেট করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি যে ৮০ জন ওয়ার্কশপ পার্টিসিপেন্টকে নিয়ে ৮ জন ফিল্মমেকার ওয়ার্কশপ করবেন, এই ৮০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন নিজেরা ফিল্মমেকার হয়ে দাঁড়াবেন। এই আগুনটাই আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই।

পাশাপাশি এটাও চাই ৮ জন ফিল্মমেকার যে ৮টা ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বানাবেন সেই কন্টেন্টগুলো যেনো দেশে এবং দেশের বাইরে আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়। সবাইকে ধন্যবাদ। অনওয়ার্ডস অ্যান্ড আপওয়ার্ডস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *