তবে কি বার্সেলোনার মধুচন্দ্রিমা পর্বটাই ফুরিয়ে গেল এবারে। নতুন কোচের অধীনে শুরুটা ছিল উড়ন্ত। রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে হারানোর পর অনেকেই বলেছিলেন, ‘বার্সেলোনা ইজ ব্যাক।’ কিন্তু এই ব্যাক যেন খেই হারিয়েছে নভেম্বরের দিনগুলোতে। আগের দুই ম্যাচেই বার্সা খেলেছিল তাদের বড় অস্ত্র লামিনে ইয়ামালকে ছাড়া। এই ম্যাচে তিনি ফিরেও যেন দলকে রক্ষা করতে পারলেন না। নিজেদের ১২৫তম জন্মদিন পালনের ২৪ ঘণ্টা পর ঘরের মাঠেই পুঁচকে লাস পালমাসের কাছে হারের স্বাদ পেল বার্সা। লা লিগার ১৫ রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থাকা লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে সফরকারীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েও শুরুর ৪৫ মিনিটে গোল পায়নি তারা। ৫ম মিনিটেই অল্পের জন্য গোলবঞ্চিত হন ফেরমিন লোপেজ। ১১ মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে লাস পালমাস। বক্সের ভেতর একাধিক চেষ্টার পরও গোল করতে পারেনি তারা। রাফিনিয়া গোল পেয়েছিলেন নির্ধারিত সময় শেষের একটু আগে। কিন্তু সেই গোল বাদ পড়ে অফসাইডের আইনে। স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুদল। তবে বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস। ৪৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে সতীর্থের লং পাস ধরে ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে জোরালো শট নেন সান্দ্রো রামিরেস। ইনাকি পেনিয়ার নাগালের বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। অবশ্য পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে বার্সেলোনা। এরই ধাবাহিকতায় ম্যাচের ৬১তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান রাফিনিয়া। দারুণ ছন্দে থাকা এই ব্রাজিলিয়ান ম্যাচে ফেরান দলকে। যদিও এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি বার্সা। বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে ৬ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় লাস পালমাস। গোলদাতা হাভিয়ের মুনিয়োস।
ম্যাচের ৭০ ও ৭১তম মিনিটে দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। তবে পালমাস গোলরক্ষক সিলেসেনের নৈপুণ্যে দুবারই হতাশ হন তারা। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে ফেরান তোরেসের গোলে ফের সমতায় ফেরে বার্সেলোনা, তবে অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচটাও এরপর বার্সাকে হারতে হয় ২-১ ব্যবধানে। এই হারের ফলে লা লিগায় সবশেষ তিন ম্যাচ টানা জয়বঞ্চিত রইল বার্সেলোনা। এর মধ্যে তাদের অর্জন কেবল এক পয়েন্ট। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের চূড়ায় থাকলেও শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে বার্সেলোনার। দুই ম্যাচ কম খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ওই দুই ম্যাচ জিতে ব্লাউগ্রানাদের টপকে শীর্ষস্থান দখল করার দারুণ সুযোগ এসেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের কাছে।