বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের মানুষের আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে। নানা সময়ে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় চাপে একাডেমি হয়ত স্বাধীনভাবে তার কাজ পরিচালনা করতে বিরুদ্ধতার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলা একাডেমির ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ আজম বলেন, সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত বাস্তবতায় সবারই প্রত্যাশা প্রকাশ পেয়েছে। সবাই চায় যেন, বাংলা একাডেমি যথাযথভাবে তার উপর অর্পিত জাতীয় দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মনসুর মুসা বলেন, বাংলা একাডেমি একসময়ে বাংলাভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় সম্পৃক্ত ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনায় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছিল। সম্প্রতি দেশে একটি যুগান্তকারী আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। যাকে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নামে অভিহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সূত্রে সংবিধানে সংস্কার, রাষ্ট্র সংস্কারসহ আরো বহুবিধ সংস্কারের ধারণা প্রতিনিয়ত আলোচিত হচ্ছে এবং এই সমস্ত সংস্কারের সঙ্গে ভাষার যেমন ওতপ্রোত-সম্বন্ধ তেমনি ভাষার সূত্রে সমস্ত সংস্কারের সঙ্গেই বাংলা একাডেমিরও নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন, গত প্রায় সাত দশক ধরে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ পালন করে চলেছে। সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একদেশদর্শী না দেখানো। বরং উচিত হচ্ছে, জাতীয় চিন্তার ক্ষেত্রে ভেঙে পড়া সেতুগুলো মেরামত করা। এতে দেশের সব মানুষ তার অধিকারের ভাষা খুঁজে পাবে। এই ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমির ভূমিকা অনেক।