আড়াই দিনেরও কম সময়ে শেষ হয়ে গেছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার দিবারাত্রীর টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৫৭ রানের লিড পেরিয়ে মাত্র ১৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছিল রোহিতের দল। ৩ দশমিক ২ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে প্যাট কামিন্সের দল। ১০ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে স্বাগতিকরা। পার্থে দারুণ জয়ের পর অ্যাডিলেডে পিঙ্ক টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়া ভারতকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন না সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভন।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের স্বপ্নভঙ্গের আরেক নাম হয়ে উঠছেন ট্র্যাভিস হেড। সর্বশেষ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে এই হেডের কাছেই হেরে গিয়েছিল ভারত। সেবারের ফাইনালে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেন অজি এই ব্যাটার। সর্বশেষ ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত ভারতের বিপক্ষে গোলাপী বলের টেস্টেও ভারতীয় বোলারদের পাত্তা না দিয়ে ১৪১ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলে পার্থক্য গড়ে দিলেন। অ্যাডিলেডে সিরিজে সমতার জয়ের পর মাঠে নেমে পড়েছিলেন সমর্থকরা। দর্শকেভরা স্টেডিয়ামের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) শেয়ার করে ভনের খোঁচা, ‘ট্রাভিস হেডের জন্য এমন ফিল্ড দরকার ভারতের’।
প্রসঙ্গত, অ্যাডিলেডে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে স্টার্কের বোলিং তোপে ভারত গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮০ রানে। ৪৮ রানে স্টার্ক একাই নেন ৬ উইকেট, যা টেস্টে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। নিশ্চিতভাবেই যে ভারত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে সেটি প্রথম ইনিংসেই টের পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রান। ভারতের সংগ্রহ পেরিয়ে তাদের লিড দাঁড়ায় ১৫৭ রানের। লিড নেওয়ার মূল অবদানটা অজি ব্যাটার ট্রাভিস হেডের। জাসপ্রিত বুমরাহ’র বোলিং তোপে ১০৩ রানেই তারা ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন হেড ও মার্নাস লাবুশেন। ১২৬ বলে লাবুশেন ৬৪ রান করে আউট হলেও, হেড একপ্রান্ত আগলে রাখেন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মিছিলে তিনিই ছিলেন ব্যতিক্রম। শেষ পর্যন্ত ১৪১ বলে ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় তিনি ১৪০ রানে থামেন।
অজিদের লিড পেরোনোর আগেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসেন রোহিত-কোহলিরা। বলার মতো (৪২) রান করেছেন কেবল নিতীশ কুমার রেড্ডি। অবশ্য রেড্ডির সান্ত্বনাদায়ক ব্যাটিং না থাকলে, ইনিংস ব্যবধানে হারতে হতো ভারতকে।