নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর কমিটির সহসভাপতি রনবীর বাড়ই সজলকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে খুলনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। এ সময় সজলকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আদালত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগরের সহসভাপতি রনবীর বাড়ই সজলকে খালিশপুর থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইন-১৯০৮ মামলায় খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির করা হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং ডিম নিক্ষেপ করেন। তাকে মেট্রোপলিটন গারদ খানায় নামানোর সময় বিক্ষুব্ধরা কিল-ঘুষি মারেন।
এর আগে রণবীর বাড়ই সজলকে ডিবি পুলিশ বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার খাসির ডাঙ্গা গ্রাম থেকে শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (গোয়েন্দা) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর আলম বলেন, খুলনা নগরের ধর্মসভা রোডের বাসিন্দা রসময় বাড়ৈর ছেলে সজলকে মোংলার খাসেরডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। জুলাই মাসে আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন সজল। এর একাধিক ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতি. উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) মোহা. আহসান হাবীব বলেন, শুক্রবার রাতে খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের চৌকস দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর শাখার সহসভাপতি রণবীর বাড়ৈই সজলকে বাগেরহাট জেলার মোংলার খামেরডাঙ্গা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে। সজল ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর শাখার সহসভাপতির পদে থাকা অবস্থায় দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে মহানগরী এলাকায় দেশীয় অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ভেতরে থাকা টিভি, আসবাবপত্র লুটপাট করাসহ একাধিক অপরাধজনক কর্মকাণ্ডে জড়িত। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে খুলনা জেলা এবং মহানগরীসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা মামলাসহ সাতটি মামলার তথ্য পাওয়া যায়।