ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিহত সিএনজি চালকের নাম ইয়াছিন এবং সে নরসিংদী জেলার বাসিন্দা। ইয়াছিন কটিয়াদীর ফেকামারা গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীসহ দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। নিহতের স্ত্রী আমেনা খাতুন বলেন, আজ সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে হঠাৎ একজন পরিচিত লোক ফোন করে বলল আমার স্বামীর লাশ হাসপাতালে পরে আছে । খবর পেয়ে আমি এবং আমার অন্যান্য স্বজনদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি আমার স্বামীকে কয়েকজন পুলিশ মিলে ধরে নিয়ে গেছে এবং কোনো কারণ ছাড়াই তাকে পিটিয়ে হত্যা করার পর হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এ বিষয়ে কটিয়াদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ সন্ধ্যায় ফেকামারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী লিটন মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশের চার সদস্যের একটি দল। দলের নেতৃত্ব দেন এসআই কামাল। অন্যান্য সদস্যরা হলেন, এএস আই নাহিদ, এএস আই মস্তুফা ও কনস্টেবল আশরাফুল। কটিয়াদী থানার ওসি আরও বলেন, পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল ফেকামারা গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী লিটনের কাছে আজ মাদকের একটি বড় চালান এসেছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম লিটনের বাড়িতে পৌঁছালে বাড়িতে থাকা সবাই দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ঐ বাড়িতে থাকা সিএনজি চালক ইয়াসিন মিয়া দৌড়াতে গিয়ে মাটিতে পরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ তাকে দ্রুত কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে ইয়াছিন ভয় পেয়ে হার্ট স্ট্রোক করে মারা যায়। পরবর্তীতে একজন ম্যাজিস্ট্যাটের সামনে ইয়াছিনের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *