বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নতুন সেটআপ ও নেতৃত্ব ঘোষণার একটি ঐতিহাসিক আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ইসলামি ছাত্র শিবিরের নেতৃত্ব, ঐক্য, এবং আদর্শিক দিকনির্দেশনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ: অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি মোঃ মোরশেদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-৪ আসনের নমিনি মোঃ আবদুল আলিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন:
সাবেক জেলা সভাপতি: মোঃ নাজমুল ইসলাম সাইফ
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির: মোঃ শাহাদত হোসেন
পৌর আমির: মাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম
১৫ নম্বর সদর ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি: মোঃ শফিউল আজম
নতুন নেতৃত্ব: অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখার নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিতরা হলেন:
সভাপতি: মাহাদী মিরাজ
সেক্রেটারি: মোঃ আতিকুল ইসলাম
সাংগঠনিক সম্পাদক: মোঃ কাওসার হোসেন
মোড়েলগঞ্জ পৌরসভায় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিরাজুল ইসলাম।
বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা: সাবেক জেলা সভাপতি মোঃ নাজমুল ইসলাম সাইফ তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ইসলামী আদর্শ প্রচার ও নেতৃত্ব বিকাশের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। শিবিরের সদস্যরা সৎ, দক্ষ ও আদর্শিক নেতৃত্ব তৈরি করতে সবসময় তৎপর।”
বাগেরহাট-৪ আসনের নমিনি মোঃ আবদুল আলিম বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির হচ্ছে নেতৃত্বের কোষাগার। এই সংগঠনের মাধ্যমে যুগের চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে জাতির জন্য যোগ্য নেতা তৈরি হচ্ছে।” তিনি তরুণদের আদর্শিক ইসলামি নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হতে উৎসাহ দেন। জেলা সভাপতি মোঃ মোরশেদ আলম তার বক্তব্যে শিবিরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, “শিক্ষা, সেবা ও ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি উন্নত ইসলামিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখি। আমাদের প্রত্যেক সদস্যকে ইসলামী মূল্যবোধে বলীয়ান হয়ে কাজ করতে হবে।”
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোঃ শাহাদত হোসেন বলেন, “শিবিরের প্রতিটি কার্যক্রম ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসারে পরিচালিত হওয়া উচিত। সংগঠনের আদর্শ ও নৈতিকতার মানদণ্ড বজায় রাখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে শিবিরের আদর্শিক দিকনির্দেশনা হিসেবে বলা হয়:
শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিকতা ও ইসলামী মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেওয়া।
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে জাতির ভবিষ্যৎকে আলোকিত করা।
মানবসেবার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা উন্নয়ন ও সুশৃঙ্খল জীবন গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণ।
ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত একটি সুশৃঙ্খল সমাজ বিনির্মাণ।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের আদর্শিক যাত্রা অব্যাহত রেখেছে। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে এবং তা দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখবে। তরুণ প্রজন্মের নৈতিক উন্নয়ন ও নেতৃত্বে উন্নতি সাধনে এই সংগঠন একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাবে বলে সবার আশা।