অনেকটা দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তামিম ইকবাল। তবুও টাইগার সাবেক এই অধিনায়ককে নিয়ে দেশের ক্রিকেটে আলোচনার কোনো কমতি ছিল না। ভক্ত-সমর্থকরা আবারও তাকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। খোদ তামিমের ছেলে আরহাম ইকবাল খানও ছিলেন এই দলে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে তামিমের জাতীয় দলে ফেরার গুঞ্জনের পালে হাওয়া লেগেছিল বেশ জোরেশোরেই। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এমনকী বিসিবিও তাকে দলে চাচ্ছিলেন। ফিরবেন নাকি ফিরবেন না এমন আবহেই আজ আজমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন তামিম। এদিন নিজের ছেলেকেও দিলেন আবেগী এক বার্তা!

ফেসবুক পোস্ট অবসর ঘোষণার এক পর্যায়ে তামিম বলেন, “২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান। তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনও আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়। ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি—তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’’ এদিন অবসরের ঘোষণা দিয়ে তামিম লিখেছেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেকদিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ। অনেকদিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।”

আরও বলেন, এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি। যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবির কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই। তারপরও অযথা আলোচনা হয়েছে। অবসর নেওয়া বা খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একজন ক্রিকেটার বা যেকোনো পেশাদার ক্রীড়াবিদের নিজের অধিকার। আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। এখন মনে হয়েছে, সময়টা এসে গেছে।”অধিনায়ক শান্তর তাকে দলে চাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আন্তরিকভাবেই আমাকে ফেরার জন্য বলেছে। নির্বাচক কমিটির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। আমাকে এখনও উপযুক্ত মনে করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। তবে আমি নিজের মনের কথা শুনেছি।”

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *