বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো একজন নারীর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী এই নারী বর্তমানে রাজধানীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কী এইচএমপিভি ভাইরাস?
হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) মূলত একটি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস। এটি ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। ভাইরাসটি সাধারণত শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের সংক্রমিত করে। এইচএমপিভি সর্দি, কাশি, জ্বর, গলা ব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। বাংলাদেশে এটি আগেও শনাক্ত হয়েছে, তবে এই প্রথম একক কোনো ব্যক্তির শরীরে পরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোগীর অবস্থা এবং চিকিৎসা
রোগী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগীর চিকিৎসা উপসর্গ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।
ভাইরাসের ঝুঁকি এবং সতর্কতা
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এইচএমপিভি নিয়ে নতুন করে আতঙ্কের কিছু নেই। এটি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটালেও সাধারণত প্রাণঘাতী হয় না। তবে, বয়স্ক এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে, নিয়মিত হাত ধোয়া, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে দূরে থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়
বাংলাদেশে এইচএমপিভি শনাক্ত হওয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তবে সঠিক চিকিৎসা এবং সচেতনতার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই সর্বোত্তম পন্থা।