চাচার খুনের প্রতিশোধ নিতেই ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু গুলি করে হত্যা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে। এ হত্যাকাণ্ডে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঋতু নামের এক নারীকে।
টিপু হত্যার ৬ দিন পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটির নৈপথ্য খোলাসা করে পুলিশ। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মৌলভীবাজারের জুড়ি থানার পাহাড়ি চা বাগান এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের আটক করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ পেয়ারের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি টিম। পরে তাদের সেখান থেকে নিয়ে এসে কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়স্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু, গোলাম রসুল ও হত্যাকাণ্ডের দিন টিপুর সঙ্গে হোটেলে অবস্থান করা নারী ঋতু।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যে পুলিশ জানতে পারে ঘটনায় জড়িত নারীসহ তার সঙ্গীয় কয়েকজন মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার থেকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের একটি দল মৌলভীবাজারের জুড়ি থানার কাপনা পাহাড়ি চা বাগানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলার জিরি থানাধীন কাপনা পাহাড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়া তিন জন হলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের দেয়ানা মোল্লাপাড়ার সেলিম আকনের মে