স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সুপারিশগুলো আলাদা করবে পাঁচটি কমিশন। পরে ওই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেওয়া হবে। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের প্রধানরা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন। সভায় কমিশনপ্রধানরা তাদের নিজ নিজ কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এতে কারও ভিন্নমত থাকলে তা চিহ্নিত করা হবে।
সভায় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফররাজ হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পক্ষে বিচারপতি এমাদুল হক অংশ নেন।
এর আগে ১৫ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সুপারিশ জমা দেন সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধানরা। এবার ওইসব সুপারিশের মধ্যে এখনই যা বাস্তবায়নযোগ্য এবং যা নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে সেগুলো আলাদা করা হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে দুই ধাপে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে গঠন করা হয় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন।
ছয় কমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার সময় ফের বৃদ্ধি : অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত ছয় সংস্কার কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কমিশনগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হলো।
সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে কমিশনগুলোর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে ৩ জানুয়ারি কমিশনগুলো প্রতিবেদন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিশনগুলো প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে আদেশ জারি করে সরকার।