মাদারীপুরের শিবচরে মিজান কাজী (২০) নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকার লাভলু কাজীর ছেলে। সে পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের মানিকপুর মোড় সংলগ্ন একটি ইটের ভাটার পাশের ভুট্টাক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন ভ্যানচালক যুবক মিজান। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। শুক্রবার সকালে ওই এলাকার ইটের ভাটার পাশের একটি ভুট্টাক্ষেতে তার মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার পর নিখোঁজ থাকে মিজান। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। শুক্রবার সকালে কাদিরপুর ইউনিয়নের ভুট্টাক্ষেতের মধ্যে গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের মা মা মলিনা বেগম বলেন, আমরা ছেলেটা ভ্যান চালায়। সন্ধ্যার পরে যাত্রী নিয়া কাঁঠালবাড়ী যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে আইলো না আমার ছেলে।’
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. রতন শেখ জানান, খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে আরেক ভ্যানচালক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্যই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।