ভালোবাসা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফুলগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুর বিরলের চাষীরা। এ জেলায় ফুলের চাহিদা মেটাতে যশোর কুষ্টিয়াসহ অন্যন্য জেলা থেকে ফুল আমদানী করা হয়। কিন্তু স্থানীয় কৃষক ফুলের দাম ভালো পাওয়ায় তারা বেশ উৎসাহী হচ্ছেন এই চাষে।
এই চাষ বাড়লে আমদানী নির্ভরতা কমবে। কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা করছে স্থানীয় কৃষি অফিস। দিনাজপুর জেলায় ফুল চাষী সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি রয়েছে। তার মধ্যে বেশ সারা পেয়েছে বিরল উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামের তিন কৃষক। তারা এক থেকে দেড় বছর আগে বানিজ্যিক ভাবে ফুলের চাষ শুরু করে।
এ বছর সেই চাষিদের বাগানে ফুলের ফলন আশানরূপ হওয়ায় বেশ উৎসাহি হয়েছেন এই চাষে। তাদের বাগানে গোলাপ, রজনীগন্ধা ও গাদা ফুলের চাষ হয়েছে। এই বাগান থেকে এরই মধ্যে ফুল সংগ্রহ শুরু করেছেন চাষীরা। দাম ভালো পাওয়ায় তারা বেশ খুশি। সারা বছর ফুলের চাহিদা কিছুটা থাকলেও ফেব্রুয়ারী মাসে এর চাহিদা থাকে অনেক বেশি।
ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে কৃষকরাও ফুল গাছ পরিচর্যায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আশানরূপ লাভ হলে আগামীতে ফুল চাষের পরিসর আরো বৃদ্ধি করার আশা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। কৃষক সুলতান বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে ফুল চাষ অনেক মূল্যবান ও দামি।
কয়েক বছর আবাদ করলেও কোনদিন লসের মুখ দেখতে হয়নি। তাই এই ফুল চাষ আরো ব্যাপকভাবে করা হবে। পাশাপাশি এই ফুল গাছ দেখতে অনেকেই ভীড় করেন এই ফুল বাগানে। এছাড়াও এই বাগানে নিয়োজিত রয়েছেন কিছু কৃষি শ্রমিক।
বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, এই অঞ্চলের মাটি ফুল চাষে ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে। ফুল চাষ করতে কৃষকদের সকল প্রকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তবে ফুল চাষীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন বলে জানালেন এই কৃষি কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, বিরল উপজেলার কাজিপাড়া গ্রামে প্রায় ৩ একর জমিতে ফুলের বাগান রয়েছে।