মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত জাতিসংঘের সম্ভাব্য রাষ্ট্রদূত, রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিক, জাতিসংঘকে ‘ইহুদি বিদ্বেষের গভীর ঘাঁটি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ (এডিএল) সম্মেলনে সোমবার দেওয়া ভাষণে তিনি জাতিসংঘকে ‘ঘৃণা ও নৈতিক পচনের’ কেন্দ্র বলেও উল্লেখ করেন।
স্টেফানিক বলেন, ‘আমরা জানি জাতিসংঘ আসলেই একটি ইহুদিবিরোধী প্রতিষ্ঠান, যা ইসরাইলবিরোধী ও আমেরিকাবিরোধী ঘৃণা এবং নৈতিক অবক্ষয়ে আক্রান্ত। বিশেষ করে ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে জাতিসংঘ বারবার ইসরাইলকে প্রতারিত করেছে, যা আমেরিকার বিশ্বাসঘাতকতারই শামিল। জাতিসংঘ এখন ইরান ও তার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পক্ষে সাফাই গাইছে।’
সিনেটে তার মনোনয়ন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে, যদিও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় অনুমোদন সহজেই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংকটের কারণে এই প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে। বর্তমানে কূটনৈতিক ক্যারিয়ার কর্মকর্তা ডরোথি শিয়া জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের অস্থায়ী চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজা যুদ্ধ ও ক্যাম্পাসে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে স্টেফানিক বরাবরই কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তবে এডিএল সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি কিছু দর্শকের প্রতিবাদের মুখে পড়েন, বিশেষ করে যখন তিনি দাবি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে ৭ অক্টোবর হামলা ঘটত না।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এটি স্পষ্ট যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকতেন, তবে ৭ অক্টোবরের ঘটনা কখনই ঘটত না।’ তার এই বক্তব্যের পর কিছু দর্শক তাকে উদ্দেশ করে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানান।
স্টেফানিক আরও দাবি করেন, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরাইলকে সমর্থন করে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করছে এবং জাতিসংঘে ইসরাইলবিরোধী মনোভাব দূর করতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের আমেরিকানরা বোঝেন যে ইসরাইলের লড়াইকে সমর্থন করা জরুরি। কারণ যারা “ডেথ টু ইসরাইল” বলে স্লোগান দিচ্ছে, তারা “ডেথ টু আমেরিকা” বলেও চিৎকার করছে। এই সন্ত্রাসীরা শুধু ইসরাইলকেই ধ্বংস করতে চায় না, বরং আমেরিকাকেও উচ্ছেদ করতে চায়। আমরা কখনোই তাদের সামনে মাথা নত করব না।’