সাভার-আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পারিবারিক সমস্যার সমাধান শেষে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলে পরিকল্পত ভাবে “দৈনিক দেশের কন্ঠ ও দৈনিক তৃতীয় মাত্রা” পত্রিকার সাভার-আশুলিয়া প্রতিনিধি খোকন হাওলাদার ও তার শালিকা মৌসুমী আক্তারের ওপর হামলা ও ছিনতাই চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী।

 

গত রবিবার (১৬ মার্চ) রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বাসষ্ট্যান্ড এলাকার জয়নাল মুন্সি সুপার মার্কেটে  অবস্থিত কাজী অফিসে মোঃ লিমন হোসেন (২৯) এর সাথে সাংবাদিক খোকনের শালিকার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে ১০টা ৩০মিনিটের সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার পরে পরিকল্পত ভাবে ডিভোর্স কৃত স্বামীর নির্দেশে ভাদাইলের আমির উদ্দিনের ছেলে সন্ত্রাসী এছহাক সাংবাদিক খোকন ও তার শালিকার ওপর হামলা চালানো হয়।

 

সন্ত্রাসীদের হাত থেকে শালিকাকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসীরা চারিদিক থেকে তাদের ঘিরে ফেলে। তারপর কিল-ঘুষিসহ লাথি মেরে ফেলে লোহার রড, জি আই পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। এবং এক পর্যায় সন্ত্রাসী এছহাকের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে সাংবাদিক খোকনের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।

 

হামলাকারীরা হলেন- ১। আমির উদ্দিন ভুইয়ার ছেলে মোঃ ইসহাক (২৬), ২। নবুরকান্দি গ্রামের ও মতলব উত্তর এর আইজুর রহমানের ছেলে লিমন হোসেন (২৯), ৩। রিপন এর স্ত্রী রুমা (২৫) ৪। রিপন (৩০), ৫। মোঃ দিপু (২৪), ৬। মোঃ রফিক (২৭) এরা সবাই আশুলিয়া থানার ভাদাইল বাজার এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া আরও অজ্ঞাত ৪/৫ জন রয়েছে।

 

সাংবাদিক খোকন বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার সাথে থাকা ক্যামেরা-ল্যাপটপ ও আমার শ্যালিকার গোলায় থাকা স্বর্ণের চেইন যাহার ওজন ০১ (এক) ভরি যার বাজার মূল্য-১,৪৮,০০০/-টাকা এবং তার দুহাতে আঙুলে থাকা স্বর্ণের ৩ (তিন) আংটি, যার ওজন-১২ আনা ও বাজার মূল্য-১,২০,০০০/-টাকা নিয়ে যায়।

 

তাছাড়াও সন্ত্রাসীরা আমার শ্যালিকার পরনের কাপড় টানা হেড়চা করিয়া শ্লীলতাহানি করে। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে আমাকে ও আমার শালিকাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করিয়া ধামরাই সরকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে থানায় এসে এজাহার দায়ের করি।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। তারা সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচারের দাবি জানান।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত, ওসি) কামাল হোসেন বলেন, এজাহার দায়ের করিলে আমরা মামলা গ্রহন করবো, সেই সাথে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *