চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে কোরবানির পশু পরিবহন শুরু হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে চতুর্থবারের মতো পশু পরিবহন কার্যক্রম শুরু হয়।
এই স্টেশন থেকে থেকে ৪টি ওয়াগনে ৮১টি কোরবানির পশু ঢাকায় পাঠানো হয়। এরমধ্যে ৭১টি গরু বাকি ১০টি ছাগল। ফলে রেলওয়ের আয় হয় ৬১ হাজার ৮৮০ টাকা। বিশেষায়িত এ ট্রেন একটানা তিন দিন অর্থাৎ ১৪ জুন পর্যন্ত চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
যমুনা সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এবার এই ট্রেনে গরু পরিবহন করা হচ্ছে। কম খরচে ঢাকায় পশু নিতে পেরে খুশি খামারিরাও।
শরিফুল নামে এক খামারি বলেন, কম খরচে ট্রেনে ঢাকায় গরু পরিবহন করতে পেরে আমি খুব খুশি। লাখ টাকা দিয়ে ট্রাক ভাড়া করে ২০-২২ ঘণ্টা পর গরু পৌঁছাবে ঢাকায়। এতে সময়ও লাগছে বেশি, টাকাও গুণতে হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে ট্রেনে গাদাগাদি ছাড়া ঢাকায় গরু পরিবহন করা যায়। এতে গরুর কষ্ট হয় না, শারীরিকভাবে জখম হওয়ার সুযোগও নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনের মাস্টার ওবাইদুল্লাহ জানান, জেলার রহনপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এই ট্রেন। যাত্রাপথে রহনপুর স্টেশন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি নেবে বিশেষ এই ট্রেন। আম ও পশু পরিবহনকারী ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ২ট ৩০ মিনিটে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০২১ সালের ১৭ জুলাই ক্যাটল স্পেশাল ট্রেন চালু হয়। খামারিদের ভোগান্তি কমাতে স্বল্প খরচে পশুবাহী ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনটিতে প্রতিটি গরু পরিবহনে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭৩ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতিটি ওয়াগনে ২০টি করে গরু পরিবহন করা যাবে। আর প্রতিটি ওয়াগনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৪৭০ টাকা। যা গত বছর ছিল ১১ হাজার ৮৩০ টাকা।
ট্রেনটি অন্যান্য বছর যমুনা সেতু দিয়ে পারাপার হতো। কিন্তু এবার পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে এ ট্রেন। যেহেতু পদ্মা সেতু দিয়ে কিছুটা দূরে, তাই এই ট্রেনের ভাড়া ৩ হাজার ৬৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।